ছবি:প্রতীকী
শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: দিনের পর দিন শাসক ঘনিষ্ঠ রাজ্য সরকারি কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে ১০০ দিনের কাজের টাকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হুলুস্থুলু মুর্শিদাবাদের সুতির ২ নম্বর ব্লকে। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানিয়ে বিডিও সৌভিক ঘোষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে কংগ্রেস। যদিও ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কোনওরকম দুর্নীতি হয়নি, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত প্ৰধান ইউসুফ আলির।
জানা গিয়েছে, সুতি ২ ব্লকের জগতাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিউর রহমান। স্থানীয় একটি সরকারি গ্রন্থাগারে কর্মরত তিনি। সম্প্রতি এমন তথ্য প্রকাশ্যে আসে যে, সরকারি কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে ১০০ দিনের কাজ অর্থাৎ এমজিএনআরজিএ’র টাকা নিচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্রি স্ত্রীর অ্যাকাউন্টেও ঢুকেছে টাকা। এরপরই বিষয়টির প্রতিবাদ জানান স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতা তথা জগতাই-১ পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি সাইদুল আলম বলেন, “মতিউর রহমান সরকারি কর্মী হয়ে এমজিএনআরজিএ’র টাকা লুটছে। তাঁর জব কার্ড নম্বর WB – ১২-০২৬-০০৪-০০২ / ১৩৮। এই কাজে সম্পূর্ণভাবে জড়িত পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নির্মাণ সহায়ক। টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করছে তাঁরা। ঘটনার তদন্তের প্রয়োজন।”
এ বিষয়ে কংগ্রেস ব্লক সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস জানান, শুধু একজনই নয়, ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অবৈধভাবে ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত চাই। যদিও তৃণমূল পরিচালিত জগতাই-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্ৰধান ইউসুফ আলির দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই এধরনের নোংরা অভিযোগ করা হয়েছে। কাউকে অবৈধভাবে টাকা দেওয়া হয়নি। পাশপাশি, ওই ব্যক্তির স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, বাগান পরিচর্যা করার জন্য মতিউরের স্ত্রীর নামে টাকা প্রদান করা হয়েছে। এবিষয়ে সুতি-২ ব্লকের বিডিও সৌভিক ঘোষ জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.