নিজস্ব সংবাদদাতা, বহরমপুর: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন হুমায়ুন কবীর। ভোট গণনার দিনই এলাকা ছেড়ে দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করে খুব শীঘ্রই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেবেন। কংগ্রেসের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই দল ছাড়ছেন হুমায়ুন কবীর।
[গড় হারিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি অধীরের, মালদহেও হতশ্রী কংগ্রেস]
১৯৮২ সাল থেকে রাজনীতিতে আছেন বেলডাঙা ২ নম্বর ব্লকের শক্তিপুরের হুমায়ুন কবীর। ৩০ বছর ধরে কংগ্রেস করছেন তিনি। ২০১১ সালে রেজিনগর বিধানসভা থেকে কংগ্রেস বিধায়ক নির্বাচিত হন হুমায়ুন। এরপর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে তৃণমূলের মন্ত্রী হন। মাত্র ৬ মাস মন্ত্রী থাকার পর উপনির্বাচনে রেজিনগরে পরাজিত হন হুমায়ুন। এর পরই তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁকে শোকজ করে শাসক দল। ফের কংগ্রেসে ফিরে আসেন তিনি। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়ান। কিন্তু ভোটের দিন সকালেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন হুমায়ুন কবীর।
বৃহস্পতিবার হুমায়ুন কবীর জানান, পুলিশ ও শাসক দলের গুন্ডামিতে তাঁর অধীনস্থ পঞ্চায়েতগুলিতে কংগ্রেস প্রার্থী ও কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছেন। শাসকদল তাঁদের ভোট করতে দেয়নি। সে কারণে ভোটের দিন তিনি সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এছাড়া তাঁর এলাকার কয়েকটি পঞ্চায়েতের কয়েকজন কাউন্টিং এজেন্ট ভোট গণনার দিন গণনা কেন্দ্রে গেলে তাঁদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন হুমায়ুন। এদিন তিনি বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করার সাহস ও মানসিকতা জেলা কংগ্রেসের নেই। কংগ্রেস এখন দুর্বল হয়ে পড়েছে। রাজ্যে এত মার খাচ্ছে দল, কিন্তু দলের হাইকমান্ডের কোনও প্রতিক্রিয়া নেই । এই কংগ্রেসের সঙ্গে থাকা যায় না।” শুক্রবার কংগ্রেস জেলা সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করবেন তিনি। তারপর কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেবেন। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “কে কোন দলে যাবেন, সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। তবে হুমায়ুন কবীরকে হারানোর জন্য তৃণমূল সবরকম চেষ্টা করেছে।”
[ফার্স্ট বয় তৃণমূলই, তবে দ্বিতীয় স্থানে নজরকাড়া উত্থান বিজেপির]
ছবি: কল্যাণ চন্দ্র
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.