ছবি: প্রতীকী।
স্টাফ রিপোর্টার: প্রদেশ কংগ্রেস সিপিএমের সঙ্গ ছাড়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে৷ এবার তাতে অনুমোদন দিল সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটি৷ উপনির্বাচনে কোনও অবস্থায় সিপিএমকে সমর্থন না করে প্রার্থী তালিকা ঘোষণাও করে দেওয়া হল৷
কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে সিপিএম৷ দলের মিটিং, মিছিল, সভায় আর কংগ্রেসকে ডাকে না বামেরা৷ এমনকী, আসন্ন তিন উপনির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এককভাবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয় বামফ্রণ্ট৷ প্রথমে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বামেদের প্রার্থীকে সমর্থনের ইঙ্গিত দিলেও পরে তা থেকে সরে আসেন৷ বামেদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে রাজ্য কংগ্রেসও প্রার্থী দেবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়৷ সোমবার প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির বৈঠকে তা পাসও হয়৷ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় হাইকমান্ডের কাছে৷ বৃহস্পতিবার এআইসিসি উপনির্বাচনের জন্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দেয়৷
আগামী ১৯ নভেম্বর তমলুক ও কোচবিহার লোকসভা এবং মন্তেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন রয়েছে৷ তিন আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী পার্থ বটব্যাল (তমলুক), পার্থপ্রতিম ইসরো (কোচবিহার) ও বাবুল আহমেদ শেখ (মন্তেশ্বর)৷ ত্রিপুরার দু’টি আসনেও প্রার্থীদের নাম এদিন ঘোষণা করে এআইসিসি৷ ত্রিপুরার খোয়াইতে প্রার্থী প্রণব বিশ্বাস ও বড়জোলায় প্রার্থী রাজেন্দ্রকুমার দাস৷
রাজ্যে সিপিএমের সঙ্গে না গিয়ে এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের যুক্তি, “কংগ্রেস সর্বভারতীয় দল৷ ফলে যে কোনও নির্বাচনে প্রার্থী দেবে, এটাই স্বাভাবিক৷ আর বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছিল৷ উপনির্বাচনে তা হয়নি৷” প্রার্থী দেওয়ার মধ্যে দিয়ে এটা স্পষ্ট হয়ে গেল, সিপিএমের সঙ্গে আর হাত মেলাতে রাজি নয় রাজ্য থেকে দিল্লির কংগ্রেস নেতারা৷ অর্থাৎ কালীপুজোর ঠিক দু’দিন আগেই হল জোটের ‘সলিলসমাধি’৷ তবে প্রশ্নের বিষয়, কংগ্রেস কোন ইস্যুকে সামনে রেখে উপনির্বাচনে লড়াই করবে৷ ৩৪ বছরের বাম শাসনকে কি উহ্য রাখতে পারবেন কংগ্রেস নেতারা? এ প্রসঙ্গে মান্নানের বক্তব্য, “স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেসের সরকার যেভাবে দেশ ও রাজ্যের উন্নয়ন করেছে, সেটাই প্রচারে তুলে ধরা হবে৷”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.