অর্ণব দাস, বারাকপুর: শিক্ষার নামে মারধর! শিক্ষকের সেই মারে এক চোখে দৃষ্টি হারানোর আশঙ্কা সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের। উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে এমন গুরুতর ঘটনায় কাঠগড়ায় বেসরকারি কম্পিউটার শিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আহত ছাত্রের পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ছাত্রের দৃষ্টিশক্তি হারানো নিয়ে চিন্তার ভাঁজ চওড়া হচ্ছে আত্মীয়দের।
আহত শ্যামনগরের এক নামী ইংরাজি মাধ্যম স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। দু বছর ধরে শ্যামনগরের ২৪ নং রেলগেটের কাছে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কম্পিউটার শিখছে সে। কিন্তু তাল কাটল গত ১৪ তারিখ। অভিযোগ, ক্লাস করার সময় কম্পিউটার শিক্ষক সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ছাত্রের মুখে আঘাত করেন। বাঁ চোখে সেই আঘাত লাগে। এর পর সে বাড়িতে ফিরে চোখে আঘাতের কথা বলে। সঙ্গে সঙ্গে ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। চিকিৎসক আঘাত পরীক্ষা করে দেখে অপারেশনের প্রস্তাব দেন। এসব শুনে আর দেরি করেনি পরিবার। ছেলেকে নিয়ে হায়দরাবাদে উড়ে যান তাঁরা। সেখানকার এক বেসরকারি হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু দৃষ্টি ফেরা নিয়ে আশ্বস্ত করতে পারেননি চিকিৎসকরা।
এনিয়ে ছাত্রের পিসি নিবেদিতা মোদক জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কম্পিউটার শিক্ষক সুসময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। নিবেদিতাদেবী জানান, ”ছেলেটার এমন অবস্থা, কোথায় শিক্ষক আর তাঁর পরিবার সহানুভূতি প্রকাশ করে পাশে দাঁড়াবে, তা তো করেইনি। তাঁরা বার বার বলতে চাইছেন, এটা একটা দুর্ঘটনা, কিছু করার নেই। আমাদের ছেলেটা এত ভালো পড়াশোনায়, কম্পিউটারেও দারুণ। ক্লাসে র্যাঙ্ক করে, কম্পিউটারে ভালো নম্বর পায়। কিন্তু ওর চোখের দৃষ্টি ফিরবে কি না, আমরা এখনও জানি না। ছেলেটার ভবিষ্যত তো অন্ধকার হয়ে গেল! দোষীর কড়া শাস্তি চাই।” যদিও বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষক বা তাঁর পরিবারের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.