Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউন

কমিউনিটি কিচেনে শুরু রান্না, নাম নথিভুক্ত করলেই পৌঁছে যাচ্ছে খাবার

প্রতিদিনের মেনুতে থাকছে আলাদা আলাদা পদ।

Community kitchen started preparing meal in Diamon Harbour area from today
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:April 12, 2020 4:02 pm
  • Updated:April 12, 2020 4:03 pm  

সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রবিবার থেকেই ডায়মন্ড হারবারের কমিউনিটি কিচেনে শুরু হল রান্না। নির্দিষ্ট নম্বরে (০৩৩-৪০৮৭৬২৬২) ফোন করে যাঁরা নাম নথিভুক্ত করছেন রান্না করা খাবার দুস্থ সেই মানুষদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই সংকটকালে এতে বহু মানুষ উপকৃত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডায়মন্ড হারবার লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের চল্লিশ হাজার মানুষের ঘরে নিয়মিত রান্না করা খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য রবিবার থেকে মোট একুশটি কমিউনিটি কিচেনে শুরু হয়েছে রান্না। প্রতিটি রান্নাঘরে ১৫-২০ জন ভাড়া করা রাঁধুনি ও সহকারী থাকছেন। মেনুতে কোনওদিন থাকছে ভাত, ডাল, শুক্তো, আলু-পটলের তরকারি, ডিমের ঝোল। কোনওদিন আবার থাকছে ভাত ও ডালের সঙ্গে সোয়াবিনের তরকারি, সজনে ডাঁটা দিয়ে মাছের ঝোল। এমনকি মুরগির মাংসও রাখা হয়েছে মেনুতে। ব্লক ভিত্তিক ৫০-৬০ জন তৃণমূল নেতা ও কর্মী রান্না করা খাবার প্যাকেটে ভরে পৌঁছে দিচ্ছেন নির্দিষ্ট মানুষের কাছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কেমন দিন কেটেছে হাসপাতালে? রোগমুক্তির পর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন করোনা যুদ্ধে জয়ী]

ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লক ও শহর এলাকার জন্য কমিউনিটি কিচেন তৈরি করা হয়েছে রবীন্দ্রভবনে। ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের রান্নাঘর সরিষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। তেমনি ফলতা ব্লকের জন্য এই কমিউনিটি কিচেন করা হয়েছে ৪ নম্বর বেলসিংহায়। খাবার প্যাকেটে ভরতির সময় এবং সেসব খাবার ডেলিভারি চলাকালীন স্বেচ্ছাসেবকদের সকলের মুখে মাস্ক পরা এবং হাতে স্যানিটাইজার লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রবীন্দ্রভবনে রান্না থেকে শুরু করে খাবার প্যাকেটজাতকরণ এবং হোম ডেলিভারি সমস্ত কিছুই সামলাচ্ছেন রাজর্ষি দাস, অমিত সাহা, গৌতম অধিকারী, সৌমেন তরফদারের মতো এক ঝাঁক যুব তৃণমূল নেতা। আপাতত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে সাংসদের এই কর্মযজ্ঞ। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তীকালে লকডাউনে ঘরবন্দী মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাংসদের এই প্রচেষ্টাকে দু’হাত তুলে আশীর্বাদ করেছেন দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ।

[আরও পড়ুন: করোনা রোগী মিললেই বাড়তি সতর্কতা, রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে ‘মাইক্রো প্ল্যানিং’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement