ছবি; জয়ন্ত দাস
ধীমান রায়, কাটোয়া: ক’দিন পরেই মহরম। ধর্মীয় প্রথা মেনে তাজিয়া নিয়ে কারবালাতলা মাঠে যান ইসলাম ধর্মালম্বীরা। কিন্তু, দীর্ঘদিন মাঠটির সংস্কার হয়নি। এবার এই মাজার সংস্কারে এগিয়ে এলেন স্থানীয় হিন্দুরাই। কাটোয়ার কারবালাতলার উপরে অবস্থিত বহুদিনের পুরনো মাজারটি মহরমের আগে সেজে উঠছে স্থানীয় হিন্দুদের উদ্যোগেই। এমনই সম্প্রীতির নজির দেখা গেল কাটোয়ায়।
[ দামি কফি উৎপাদনে ব্যবহৃত বিশেষ প্রজাতির গন্ধগোকুল উদ্ধার কাটোয়ায়]
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে পড়ে কারবালাতলা। কারবালাতলায় সাড়ে আট কাঠা জমির উপরে রয়েছে একটি মাজার। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই কারবালাতলার মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মণ্ডলপাড়া, কাটোয়াপাড়া, সরাইপাড়া ও কেশিয়াপাড়ার মহরম কমিটির। প্রায় আট-ন’টি তাজিয়া মহরমের দিন কারবালাতলা মাঠে আসে। প্রচুর জনসমাগম হয়। একদিনের মেলাও বসে। মহরম উপলক্ষ্যে মাঠে মাতন ও লাঠিখেলা হয়। জানা গিয়েছে, প্রতিটি কমিটি পালা করে একজন খাদিমকে কারবালাতলার মাজারের সংস্কারের দায়িত্ব দেয়। এবছর দায়িত্ব পেয়েছেন মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা কামাল শেখ খাদিম। তিনি বলেন, “আমাকে কমিটিগুলি থেকে বলা হয়েছিল মাজারটির কাজ করার জন্য। কিন্তু আমি জানিয়ে দিয়েছিলাম খরচ বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তখন স্থানীয় বাসিন্দা কিছু ছেলে আমার কাছে প্রস্তাব দেয় তারা মাজারটি সংস্কার করবে। তাদের এই উদ্যোগ দেখে আমরা সকলেই গর্বিত।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের কারবালাতলায় মাজারটির সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মাঠে সারাবছর খেলাধূলা করে এলাকার কয়েকজন কিশোর। মাঠ সংস্কারের জন্য তারা চাঁদা তুলেছে, এখন জোরকদমে চলছে সংস্কারের কাজ৷ স্থানীয় বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির ছাত্র কেশব চক্রবর্তী, সুকান্ত ভট্টাচার্যরা বলে, “আমরা কারবালাতলা মাঠে খেলা করি। এলাকার সকলে মাজারটিকে ভক্তি করেন। তাই মাজার সংস্কারের দায়িত্ব আমাদের সকলেরই।”
[গুটখা আর পানের পিকে ভরে উঠছে দেওয়াল, ভগবানই ভরসা হাসপাতালের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.