দীপঙ্কর মণ্ডল: সব ঠিক থাকলে প্রায় বছরখানেক পর রাজ্যের স্কুলগুলি খুলে যাচ্ছে ফেব্রুয়ারির ১২ তারিখ থেকে। কিন্তু রাজ্যের কলেজ (College), বিশ্ববিদ্যালয়গুলি (university) এখনই খোলা হচ্ছে না। বুধবার রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকের পর এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে এ কথা জানালেন পুরুলিয়ার সিধু-কানহো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপক কর। আপাতত মার্চ পর্যন্ত বন্ধ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তারপরে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানা গিয়েছে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও পড়তে আসেন ভিনরাজ্যের পড়ুয়ারা। তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে হস্টেলও (Hostel) খোলা হচ্ছে না আপাতত। ক্লাস চলবে অনলাইনেই। এমনকী সেমিস্টারও নেওয়া হবে ডিজিটাল মাধ্যমে। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এমনই প্রস্তাব রেখেছেন উপাচার্যরা। তাতে রাজি শিক্ষাদপ্তর। তবে গবেষণার সুবিধায় পড়ুয়া কিংবা গবেষকদের জন্য ল্যাবরেটরি খোলা হতে পারে। তবে তাও হবে আবেদনের নিরিখে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ল্যাব খোলার জন্য আবেদন জানাতে হবে গবেষকদের। তার ভিত্তিতে কবে থেকে ল্যাব খোলা হবে, কতক্ষণ গবেষণাগারে কাজ করা যাবে, কী কী নিয়ম মানতে হবে – সেসব স্থির করবে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আনলক (Unclock) পর্বে গত সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়েছে। পরীক্ষাও হয়েছে অনলাইনে। স্নাতক স্তরে নয়া পদ্ধতি ‘ওপেন বুক এক্সামে’ পরীক্ষা হয়েছে। এখনও সেই একই পদ্ধতিতে ক্লাস, পরীক্ষা হবে মার্চ পর্যন্ত। তারপর কলেজের গেট পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য আপাতত। তবে উপাচার্যদের সিদ্ধান্তের জেরে খুব একটা খুশি নন পড়ুয়ারা। বিশেষত প্র্যাকটিক্যাল ক্লাসের জন্য কলেজ না খুললে বেশ সমস্যায় পড়তে হবে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাই স্কুলের মতো অন্তত ল্যাবে যাওয়ার অনুমোদন দেওয়া হোক পড়ুয়াদের, এমনই আবেদন কলেজ, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রছাত্রীদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.