দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় উদ্যোগী হল ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজের ছাত্রছাত্রীরা। এই কাজে এগিয়ে এসেছেন কলেজের অধ্যাপক, অধ্যাপিকারা। নিজেরা মাস্ক তৈরি করে নিজের হাতে তা গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি করছেন। বেশ কিছুদিন ধরে এই ভাবেই তাঁরা করোনার বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচার করছেন।
কলেজের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষকাদের দাবি, এবছর নববর্ষ উপলক্ষে সবাই সমবেতভাবে নববর্ষ উদযাপন করতে না পারলেও নতুন কাজের জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। তাই তাদের স্লোগান “মাস্ক পরো, মাস্ক পরাও। জীবন বাঁচাও-নিজের প্রিয়জনের ও পরজনের।” লকডাউন চলছে। সরকারি নির্দেশে বন্ধ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছেন। করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিকভাবে মানুষকে সচেতন করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। পিছিয়ে নেই ক্যানিংয়ের বঙ্কিম সর্দার কলেজও।
কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায়ের ইচ্ছানুসারে মাস্ক ব্যবহার করার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে উদ্যোগী হয়েছেন কলেজের ছাত্রছাত্রী ও অধ্যাপকরা। ইতিমধ্যে তাঁরা করোনা মোকাবিলায় কী কী করনীয় এবং কী কারণে মাস্ক ব্যবহার করা জরুরী তা নিয়ে লিফলেট তৈরি করেছেন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালাচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের উদ্যোগে বাড়িতে বসেই মাস্ক তৈরি করে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করছে।ছাত্রছাত্রীদের এমন উদ্যোগের প্রংশসা করেছেন ক্যানিং-১ ব্লকের বিডিও নিলাদ্রি শেখর দে। তিনি বলেন, “ছাত্রছাত্রীরা যেভাবে নিজেদের উদ্যোগে মাস্ক তৈরি করে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করছে, তা প্রশংসার যোগ্য। ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যদি করোনা মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে লকডাউন কার্যকর করে তাহলে হয়তো করোনা ভাইরাসকে নির্মূল করা সম্ভব হবে।”
বাংলা দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাথী দাস বলেন, “মানুষের স্বার্থে, সমাজের স্বার্থে করোনা মোকাবিলায় সবার এগিয়ে আসা উচিত। আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি না। কলেজের অধ্যাপকরা আমাদের অনলাইনের মাধ্যমে পড়াশোনা করাচ্ছেন। পাশাপাশি আমরা, বন্ধু-বান্ধবরা বাড়িতে বসে মাস্ক তৈরি করে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করছি।” কলেজের অধ্যক্ষ তিলক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে চারিদিকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। সেই কারণে মানুষকে সচেতন করতে আমরা শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীরা মিলিত ভাবে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.