ফাইল ছবি
শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: ফের গুলি চলল রায়গঞ্জে। এবার গুলিবিদ্ধ এক কলেজ পড়ুয়া। রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভরতি তিনি। ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে আক্রান্ত যুবক তাঁদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্য।
[ ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহারে ‘না’, নির্যাতিতাকে মারধর অভিযুক্তের পরিবারের]
গুলিবিদ্ধ ওই পড়ুয়ার নাম নিহাল দাস। রায়গঞ্জের সুরেন্দ্রনাথ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে একটি হোটেলের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় নিহালকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় থানায়। ওই যুবককে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ হাসপাতালে ভরতি করে পুলিশ। রাতেই পাঁচজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় দুটো নাইন এমএম পিস্তল ও বারো রাউন্ড গুলি। ধৃতদের মধ্যে একজন আবার নাবালক। তাকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন রায়গঞ্জ মহকুমা আদালতের বিচারক। বাকিদের চারজনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া।
কিন্তু, কলেজ ছাত্র নিহাল দাসকে লক্ষ্য করে কারা গুলি চালাল? পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে রায়গঞ্জের শিলিগুড়ি মোড়ে একটি হোটেলে খেতে এসেছিলেন নিহাল। খাওয়া-দাওয়া সেরে যখন তিনি হোটেল থেকে বেরোচ্ছিলেন, তখনই কয়েকজন যুবকের সঙ্গে বচসা বাধে নিহালের। বচসা চলাকালীন আচমকাই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় ওই যুবকরা। নিহালের পায়ে গুলি লেগেছে। বুধবার রাতে রায়গঞ্জ থানা চত্বরে জলসা ছিল। যারা নিহালকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, তাদের ওই জলসায়ও দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি অমল আচার্যের দাবি, শাসকদলের সক্রিয় কর্মী গুলিবিদ্ধ নিহাল দাস।
গত মঙ্গলবার রাতেও গুলি চলেছিল রায়গঞ্জে। বন্দর এলাকায় তৃণমূল কাউন্সিলের স্বামীকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বরাতজোরে রক্ষা পান তিনি। ঘটনার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল শহরে।
[ তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ময়ূরেশ্বর, জখম মহিলা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.