শরীরেও পেন দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রেমিকার নাম লেখেন মৃত যুবক।
ধীমান রায়, কাটোয়া: প্রেমে ব্যর্থ। মাঝরাতে তিন পাতার সুইসাইড নোচট হোয়াটসঅ্যাপে দিয়ে আত্মঘাতী কলেজ ছাত্র। মৃতের নাম শুভজিৎ দাস। বয়স ২১। নিজের হাত কেটে রক্ত দিয়ে প্রেমিকার নাম লিখে গিয়েছে যুবক। শরীরেও পেন দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে লেখা সেই নাম, যাকে না পাওয়ার হতাশা তাকে ঠেলে দিয়েছে চরম সিদ্ধান্তের দিকে।
পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ওড়গ্রামের শুভজিৎ। রাত জেগে তার পড়ার অভ্যাস তাঁর। নিজের ঘরে বসে রাত জেগেই সে লিখে ফেলেছিল তিন পাতার সুইসাইড নোট। চোখের জলে ভিজেছিল সেই কাগজ। সেই অশ্রুসিক্ত ‘জীবন শেষের কিছু কথা’ আবার নিজের হোয়াটসঅ্যাপের স্ট্যাটাসে আপলোড করেছিল সে। যা চোখে পড়েছিল বন্ধুবান্ধবদের। কিছু একটা অঘটন ঘটতে চলেছে বুঝে বন্ধুরা একে অপরকে খবর দিয়ে তার বাড়িতে রাতেই চলে এসেছিল। তারপর বন্ধ দরজা ভেঙে ঘরের ভিতরে ঢুকেওছিল। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
বাড়ির ভিতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে গুসকরার কলেজ ছাত্র শুভজিৎ দাস।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটেছে এই ঘটনা। শুভজিতের দেহ উদ্ধার করার পর তদন্তে নেমে তদন্তকারী পুলিশ কর্মীরা যতটা না অবাক তার চেয়েও আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছেন। ছত্রে ছত্রে বিচ্ছেদ দহনজ্বালামাখা তিন পাতার সুইসাইড নোট, তা হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে দেওয়া এবং আত্মহত্যা, এমন ঘটনা বিরল বলেই মত তাঁদের।
জানা গিয়েছে, গুসকরা কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল শুভজিৎ। পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক তরুণীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল শুভজিতের। ওই তরুণীর সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল সে। সেই কারণেই আত্মঘাতী হয়েছে শুভজিৎ। যদিও এই ঘটনায় শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ওই তরুণীর বা তার পরিবারের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.