সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ। ইস্তফা দিলেন নদিয়ার কল্যাণী মেডিক্যাল ও হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এবং সুপারের। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে পড়ুয়াদের একাংশ।
নদিয়ার কল্যাণীর কলেজ অফ মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালের মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই হস্টেলে জলের সমস্যা। পরিষ্কার করা হয় হস্টেলের আশপাশের জঙ্গল। বারবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলেও অভিযোগ। অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামেন পড়ুয়ারা। তারই মাঝে মঙ্গলবার রাতে এক পড়ুয়াকে সাপে কামড় দেয়। সে খবর পাওয়ামাত্র রাতেই হাসপাতালে যান প্রিন্সিপাল এবং সুপার। সেই সময় আরও একবার পড়ুয়ারা প্রিন্সিপালকে জঙ্গল পরিষ্কারের আরজি জানান। অভিযোগ, প্রিন্সিপাল তাঁদের কথার গুরুত্ব দেননি। শুধুমাত্র নিয়মরক্ষা করতেই হাসপাতালে গিয়েছেন বলেই জানান তিনি। ইস্তফাও যে জমা দেবেন, তাও জানিয়ে দেন প্রিন্সিপাল ও সুপার।
এরপর রাতেই স্বাস্থ্য বিভাগের রেজিস্ট্রারের কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন দু’জনে। তাঁরা দাবি করেন, কয়েকজন ছাত্রের দুর্ব্যবহারে তিতিবিরক্ত হয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। যদিও প্রিন্সিপাল এবং সুপারের অভিযোগকে খারিজ করেছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। এদিকে, এই ঘটনার জেরে কল্যাণী মেডিক্যালের স্বাস্থ্য পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক ছন্দে চলছে চিকিৎসা।
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে ছাত্রভোটকে কেন্দ্র করে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়। একটানা ১২দিন ধরে চলে পড়ুয়াদের অনশন। সেই সময় পড়ুয়াদের সঙ্গে বৈঠকে বাকবিতণ্ডার জেরে উপাধ্যক্ষ ও প্রিন্সিপাল স্থির করেন আর মেডিক্যাল কলেজে যাবেন না তাঁরা। স্বাস্থ্যভবনে বসেই প্রয়োজনীয় কাজ সারবেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন বছরে শুরুতেই ছাত্র বিক্ষোভে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অচলাবস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.