সৌরভ মাঝি, বর্ধমান: মাধ্যমিক পরীক্ষাও অর্থের সংস্থান দিচ্ছে! যে সব স্কুলের সামনে সাধারণত ঝালমুড়ি, পাপড়ি চাটের দোকান বসত, সেই সব স্কুলের (পরীক্ষাকেন্দ্র) সামনে হকারদের ভিড়। কেউ জলের বোতল বিক্রি করছেন, কেউ ডাব, কেউ বা নানা ধরনের হেল্থ ড্রিঙ্ক। অন্য বছরের তুলনায় এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় ডাবের দামও কিছুটা হলে কম। যা স্বস্তি দিচ্ছে আম জনতাকে।
এখনও সেভাবে গরম না পড়ায় ডাবের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, ডাবের জোগানেও ঘাটতি নেই। বর্ধমান শহরের বাজারে প্রতি পিস ডাব ৪০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের ডাব ৪০ টাকা, বড় সাইজের ডাব ৫০ বা ৬০ টাকা। গত বছর এই দাম কিছুটা বেশি ছিল। ছোট সাইজের ডাবের দামই ছিল ৬০ টাকা। বড় সাইজের ডাব ছিল ৮০ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে গরম সেভাবে না পড়ায় ডাবের চাহিদা তেমন বাড়েনি।
বর্ধমান শহরে মূলত ডাব আসে জেলারই গ্রামীণ এলাকা থেকে। মেমারি, রসুলপুর এলাকা থেকে সব থেকে বেশি ডাবের জোগান দেয়। এছাড়াও গুসকরা এলাকা থেকেও ডাব আসে। বর্ধমানের রানিগঞ্জ এলাকার ডাব বিক্রেতা কুমার সোনকার যেমন বলেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য ডাবের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে ঠিকই। তবে সেভাবে ডাব কিনছে না কেউই। গত এক মাসের বেশি সময় ধরে ডাবের দাম একই রয়েছে। গরম না পড়ায় ডাবের চাহিদা সেভাবে বাড়েনি।’’ কার্জন গেট এলাকার ফল বিক্রেতা উজ্জ্বল দাসও জানান, ডাবের দাম বাড়েনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.