বিক্রম রায়, কোচবিহার: কাকতালীয়! যেদিন পরকীয়া ফৌজদারি অপরাধ নয় বলে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট, সেদিনই স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে রুখতে ধরনায় বসলেন এক মহিলা। কোচবিহার শহরের নিউটাউন এলাকায় পাত্রীর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন তিনি। ধরনায় শামিল ওই মহিলার বাবা ও শাশুড়িও।
[ আবাস যোজনার তালিকা থেকে বাদ কুষ্ঠরোগীর নাম, আউশগ্রামে চাঞ্চল্য]
ঘটনাটি ঠিক কী? কোচবিহার শহরের অমরতলা এলাকার বাসিন্দা দীপক সাহা। বছর চারেক আগে বিয়ে হয় তাঁর। ওই দম্পতির একটি ছেলেও রয়েছে। দীপক সাহার স্ত্রী সুলগ্না সিংহ সাহার অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন তাঁর স্বামী। অথচ তাঁকে কিছুই জানাননি! শুনানিতে স্ত্রীর গরহাজিরার কারণে একতরফাভাবে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করে দেয় আদালত। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন সুলগ্না। মামলাটি এখন বিচারাধীন। এদিকে আবার দীপকের সঙ্গে অন্য এক মহিলার সম্পর্ক তৈরি হয়। তিনি কোচবিহারের শহরের নিউটাউন এলাকায় ভাওয়াল মোড়ে এলাকার বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দীপক সাহার সঙ্গে ওই মহিলার বিয়ে হওয়ার কথা। স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে রুখতে ওই মহিলার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেছেন দীপকের স্ত্রী সুলগ্না সিংহ সাহা। বাবাই শুধু নয়, সুলগ্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন দীপকের মা-ও। তাঁরাও ধরনা দিচ্ছেন। যদিও অভিযুক্ত দীপক সাহার দাবি, আইন মেনে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন তিনি। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সুতরাং দ্বিতীয়বার বিয়েতে আর কোনও বাধা নেই।
দ্বিতীয়বার বিয়ে তো বটেই, বিবাহিত অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক বা পরকীয়া এদেশে আইনত অপরাধ বলে গণ্য করা হত। কিন্তু, বিবাহিত নারী বা পুরুষের অন্য সম্পর্কে ছাড় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, পরকীয়া কোনও অপরাধ নয়। স্ত্রী স্বামীর সম্পত্তি নন। তাই যদি কোনও বিবাহিত মহিলা স্বেচ্ছায় পরকীয়ায় লিপ্ত হন, তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে গণ্য হবে না। কিন্তু, ঘটনা হল, বিয়ের ক্ষেত্রে আগের আইনই আছে। অর্থাৎ মহিলা হোন কিংবা পুরুষ, স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে পারবেন।
[ মুখ ফিরিয়ে রেল, স্টেশনে পড়ে থাকা অসুস্থ বৃদ্ধাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা স্থানীয়দের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.