বিক্রম রায়, কোচবিহার: অভাবের সংসার। এদিকে ঘরে আবার চার-চারটি সন্তান। শেষপর্যন্ত, অভাবের তাড়নায় তিনমাসের শিশুকন্যাকে বিক্রি করে দিলেন এক মহিলা! ঘটনাটি জানাজানি হতেই তোলপাড় কোচবিহার শহরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, কোচবিহারেরই এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে ৫০ হাজার টাকায় শিশুটি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করছে কোতুয়ালি থানার পুলিশ। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
[হাসনাবাদ থেকে গ্রেপ্তার ভাগাড় কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত কওসর আলি ঢালি]
কোচবিহার শহরের ১৮ ওয়ার্ডের বাঁধেরপাড়া এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মী রায়। একটি স্কুলে রান্নার কাজ করেন তিনি। স্বামী পেশায় দিনমজুর। ওই দম্পতির তিন মেয়ে ও এক ছেলে। সবচেয়ে ছোটটির বয়স মোটে তিন মাস। অভিযোগ, দালালকে ধরে তিনমাসের শিশুকন্যাটিকেই বিক্রি করে দিয়েছেল লক্ষ্মী। ঘটনাটি ঘটেছে এক মাসে আগে। কিন্তু, কেউ ঘুণাক্ষরেও কিছু টের পাননি। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে টিকা দেওয়ানোর জন্য এক সন্তানকে নিয়ে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে গিয়েছিলেন লক্ষ্মী রায়। ঘটনাচক্রে, যাঁদের কাছে ওই শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছিল, তাঁরাও লক্ষ্মীর সন্তান নিয়ে ওই হাসপাতালেই এসেছিলেন। কথায় কথায় ওই মহিলা জানতে পারেন, তাঁর সন্তানের বিনিময়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে দালাল। কিন্তু, লক্ষ্মী পেয়েছেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা। এই নিয়ে কোচবিহারের এমজেএন হাসপাতালে ‘ক্রেতা’ ও ‘বিক্রেতা’র মধ্যে একপ্রস্থ বাদানুবাদ হয়। বাড়ি ফিরে দালালকে চেপে ধরেন লক্ষ্মী রায়। এরপরই শিশু বিক্রির ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় কোচবিহার শহরে।
[বর্ধমানে যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে রহস্য, আইপিএল বেটিংকে দুষছে পরিবার]
খবর পেয়ে কোচবিহার শহরের বাঁধেরপাড়া এলাকায় লক্ষ্মী রায়ের বাড়িতে যায় কোতুয়ালি থানার পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, কোচবিহার শহরেরই এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছেন অভিযুক্ত। শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তবে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
[কেরলের আতঙ্ক বাংলায়, বারুইপুরের লিচুবাগানে খোঁজ নিপা ভাইরাসের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.