Advertisement
Advertisement

Breaking News

Malay Ghatak

কয়লা কাণ্ডে ফের তলব রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে, ডাকা হল বাঘমুণ্ডির বিধায়ককেও

রাজনৈতিকভাবে হারাতে না পেরে হয়রান করছে বিজেপি, দাবি তৃণমূলের।

Coal smuggling: ED summons Malay Ghatak, Sushanta Mahato | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 14, 2022 12:04 pm
  • Updated:July 14, 2022 12:04 pm  

সুমিত বিশ্বাস: কয়লা পাচার কাণ্ডে ফের রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে (Moloy Ghatak) তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শুক্রবার সকালে ১১টায় দিল্লিতে ইডির দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে চতুর্থবার তাঁকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। একই সঙ্গে তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও। তাঁকেও শুক্রবার সকাল ১১টায় দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

ইডি সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের (Coal scam case) জট খুলতে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। সেই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকও। এর আগে বার তিনেক তাঁকে তলব করা হয়েছিল। একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরাও দেন তিনি। কয়লা পাচার নিয়ে অভিযোগ ওঠার পর কী ভূমিকা নিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী তথা এলাকার বিধায়ক, তা জানতে চান ইডি আধিকারিকরা। সেকারণেই চতুর্থবার তাঁকে তলব করা হল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘বিজেপি থেকে ফেরা নেতারা সুবিধাভোগী-ধান্দাবাজ’, মন্তব্য তৃণমূল বিধায়কের]

মলয়ের পাশাপাশি এবার তলব করা হয়েছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোকেও (Sushanta Mahato)। সুশান্ত দীর্ঘদিন তৃণমূলের যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালের আগস্ট মাস পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন তিনি। একুশের নির্বাচনে বাঘমুণ্ডি থেকে বিধায়ক হন। একই সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদেও রয়েছেন সুশান্ত। ইডির (ED) তলব প্রসঙ্গে অবশ্য এখনও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।

[আরও পড়ুন: সিট গঠনের মাসখানেকের মধ্যে রসিকা জৈন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার বধূর স্বামী]

গতবছর ১৬ সেপ্টম্বর পুরুলিয়ায় এক সাংগঠনিক সভায় গিয়েও সুশান্তর কয়লা কাণ্ডে জড়িত থাকা নিয়ে সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এমনকী গত ১১ জুন  পুরুলিয়ার বলরামপুরে জনসভা করতে গিয়েও বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, কয়লা পাচারকাণ্ডে সুশান্তর যোগ আছে। তার ঠিক পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূলের দাবি, রাজনৈতিকভাবে বিজেপি যাদের হারাতে পারছে না, তাঁদের বিরুদ্ধেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগানো হচ্ছে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, নিজেদের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনা ঢাকতে মরিয়া বিজেপি (BJP)। যাঁদের রাজনৈতিকভাবে হারাতে পারছে না, তাঁদের এজেন্সি দিয়ে টার্গেট করা হচ্ছে। বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে আগে টার্গেট করে নিচ্ছে। তারপর ভুয়ো অপরাধের গল্প বানানো হচ্ছে।” কুণালের প্রশ্ন, কয়লা তো কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিল। খনিমন্ত্রক কেন্দ্রের, সিআইএসএফ (CISF) কেন্দ্রের, বিএসএফ (BSF) কেন্দ্রের, তাহলে দুর্নীতি হয়ে থাকলে সেটা রোখা গেল না কেন? আর এতদিন তদন্তই বা হল না কেন?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement