বিক্রম রায়, কোচবিহার: তুফানগঞ্জ আইটিআইতে নিজ কক্ষে বসে মদ্যপান। অভিযুক্ত অধ্যক্ষকে শোকজ করল জেলা প্রশাসন। তিনদিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে হবে তাঁকে। শুধু তাই নয়, তুফানগঞ্জের আইটিআইয়ের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কারিগরি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন কোচবিহারের কৌশিক সাহা। তিনি বলেছেন, ‘অধ্যক্ষের যে ধরনের আচরণ ও বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, তা কোনও দিনই কাম্য নয়। শোকজের জবাব খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শোকজের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ উইলিয়াম সোরেনও।
[কলেজের মধ্যেই দেদার ফুর্তি, মদের আসরে মত্ত অধ্যক্ষ]
কোচবিহারের তুফানগঞ্জে আইআইটিতে নিজের ঘরে মদ্যপানে আসর বসেছিলেন খোদ অধ্যক্ষ উইলিয়াম সোরেন। তাঁর সঙ্গে বসেই মদ্যপান করছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক, এমনকী, অশিক্ষক কর্মচারীরাও। কলেজে ভরতি ফর্ম তুলতে গিয়ে ঘটনাটি নজরে আসে তুফানগঞ্জ এমএনএম হাইস্কুলের দশম শ্রেণির চার পড়ুয়ার। এদিকে ২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও ফর্ম না পেয়ে অধৈর্য্য হয়ে ওঠে ওই চারজন পড়ুয়া। তুফানগঞ্জ আইটিআইয়ের ছাত্র সংসদের দুই পদাধিকারীর কাছে অভিযোগ জানায় তারা। সদবদলে যখন কলেজে পৌঁছন ছাত্রনেতারা, তখনও মদ্যপান করছিলেন অধ্যক্ষ উইলিয়াম সোরেন। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়ারা।
জানা গিয়েছে, বুধবার কলেজে ঢুকেই প্রথমে তাঁর ঘরটি পরিষ্কার করার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন তুফানগঞ্জ আইটিআই কলেজের অধ্যক্ষ উইলিয়াম সোরেন। একে একে অধ্যক্ষের ঘর থেকে খালি মদের বোতল, তাসের বান্ডিল-সহ অন্যান্য আসবাবপত্র সরিয়ে ফেলা হয়। তুফানগঞ্জ আইটিআইতে বর্তমানে একটি বিভাগে পঠনপাঠন চলছে। পড়ুয়া সংখ্যা ২৬। বুধবার পড়ুয়ারা কলেজে এসেছিলেন। স্বাভাবিক নিয়মে ক্লাসও হয়েছে। তবে অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে সরব তুফান আইটিআইয়ের পড়ুযারা। মহকুমাশাসককে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, দ্রুত অধ্যক্ষকে অপসারণ না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
[বনধের মধ্যেই স্কুলে ঢুকে ছাত্রকে মার বিজেপির সমর্থকদের
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.