Advertisement
Advertisement
মমতা

‘মেলার মাঠে নির্মাণ চাই না, উপাচার্য ডিএমের সঙ্গে কথা বলুক’, বিশ্বভারতী নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা

রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন।

CM Mamata Bannerjee is against building wall around Poush mela math
Published by: Paramita Paul
  • Posted:August 17, 2020 5:33 pm
  • Updated:June 22, 2022 1:45 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৌষমেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে অশান্তি চলছেই। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যপালও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন। আর এই গোটা ঘটনাপ্রবাহে মুখ্যমন্ত্রী যে ক্ষুব্ধ, তা স্পষ্ট। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিলেন, পৌষ মেলার মাঠ ঘেরা তাঁর বিলকুল না-পসন্দ। তবে বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, তাই তাতে তিনি কোনও হস্তক্ষেপ করবেন না। 

পরিবেশ আদালতের নির্দেশে শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা শুরু করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া থেকে আশ্রমিক, এমনকী শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা-ব্যবসায়ীরাও এর প্রতিবাদ করেছেন। তারপরেও নিজেদের সিদ্ধান্ত  অনড় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি পাঁচিল দিতে করোনাবিধি অমান্য করে কাজ শুরু হয়েছে। তা নিয়ে এদিন সকালে রীতিমতো ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অফিসে ভাঙচুরও হয়। এরপরই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল আমাকে ফোন করেছিলেন। কথা হয়েছে। আমি ওঁকে জানিয়েছি, এটা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে উত্তপ্ত বিশ্বভারতী, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা রাজ্যপালের]

নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতার সাফ কথা, “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খোলামেলা পরিবেশে এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন। প্রকৃতির সঙ্গে তার যোগ রয়েছে। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে পাঁচিল চাই না।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, মাঠে পাঁচিল তৈরির সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন বহিরাগতরা। যেটা স্থানীয় মানুষের পছন্দ হয়নি। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসককে বিশ্বভারতীর উপাচার্য ও  ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে তাঁর সতর্কবার্তা, “এমন কিছু ঘটা উচিৎ নয়, যা বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে। “

[আরও পড়ুন বিশ্বভারতীতে তুলকালাম, পৌষ মেলার মাঠের পাঁচিল ও দরজা ভাঙল স্থানীয়রাই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement