রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের রক্ষাকবচ মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প! তাজপুর থেকে শংকরপুর পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের পাশেই গড়ে উঠেছে সমুদ্র বাঁধ। যার জেরে বর্ষার উত্তাল সমুদ্রের গ্রাস থেকে রক্ষা পেয়েছে তাজপুর, জামড়া, শ্যামপুর, টেংরামারী গ্রাম। এবার বর্ষায় সমুদ্র বাঁধ রক্ষাকবচ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর যেদিকে সমুদ্র বাঁধ নেই অর্থাৎ জলধা এলাকায় সমুদ্র বাঁধের ভাঙন জারি রয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুর রামনগর বিধানসভার অন্তর্গত দিঘা-মন্দারমণি মেরিন ড্রাইভ গড়ে উঠেছে। হয়েছে সৌন্দর্যায়নও। একইভাবে শংকরপুর থেকে তাজপুর পর্যন্ত দীর্ঘদিনের ভগ্নপ্রায় সমুদ্র বাঁধ অবশেষে নির্মাণ করা হয়েছে। এবার সমুদ্র বাঁধ নির্মাণ সঙ্গে সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ তৈরি রামনগর বিধানসভায় শাসকদলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তাজপুর, জামড়া শ্যামপুর, টেংরামারী এলাকা-সহ রামনগর বিধানসভার তালগাছারী দু নম্বর ব্লকের সমুদ্র বাঁধ নির্মাণ হওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে গ্রামবাসীরা। শাসকবিরোধী দুই শিবিরের সমস্যা ছিল এই সমুদ্রবাঁধ নিয়ে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প মেরিন ড্রাইভের সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণ করা হয়েছে সমুদ্র বাঁধও। ফলে খুশি এলাকাবাসী।
প্রতিবছর বৃষ্টির সময়, ঝড়ের প্রবল তাণ্ডব বা জলোচ্ছ্বাসের জেরে রামনগর বিধানসভার তাজপুর শংকরপুর উপকূলবর্তী এলাকা প্রায় ডুবে যেত। প্রতিবছর সমুদ্রের জল ঢুকত গ্রামে। বিঘার পর বিঘা জমির ধান যেমন নষ্ট হত। মানুষজন হতেন গৃহহীন। ঝড়-বৃষ্টির সময় আশ্রয় নিতে হত অন্যত্র। সমুদ্র বাঁধ নির্মাণের ফলে অনেকটাই নিশ্চিন্ত এলাকাবাসী। যদিও বিরোধীরা বলছে, সমুদ্র বাঁধ আরও উঁচু, আরও উন্নত করা উচিত ছিল। এ প্রসঙ্গে রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানান, “সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের ফলে সহজেই গ্রামে জল ঢুকে আসত। এবার বাঁধ দেওয়ার ফলে সেটা হচ্ছে না। গ্রামের মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন। এজন্য় মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.