সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্য়া পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে (Ghatal) গিয়ে ফের জননেত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। জলে নেমে বুঝলেন পরিস্থিতির গুরুত্ব। জলে দাঁড়িয়েই প্রশাসনিক আধিকারিকারিকের সঙ্গে সেরে নিলেন প্রয়োজনীয় আলেচনা। আর এভাবেই তিনি বোঝালেন, হেলিকপ্টার চড়ে আকাশপথে বন্য়া বিধ্বস্ত এলাকা দেখা কিংবা গাড়িতে চড়ে রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে ক্ষয়ক্ষতি দেখে বুঝে ফেলা নয়, একেবারে জমা জলে না নামলে প্রকৃত অবস্থা সম্যকভাবে বোঝা অসম্ভব। আর দ্রুত পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাইলে, এভাবে পথে নেমেই কাজ করতে হয়। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে কাজ করতে দেখে অনেকটা ভরসা পেলেন দুর্গতরা। আর অনুপ্রেরণা পেলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টার একটু পরই কপ্টারে করে ঘাটালের (Ghatal) বন্যা বিপর্যস্ত এলাকায় পৌঁছন। কপ্টার থেকে নেমে ঘাটালের সাংসদ দেব (Dev), জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও অন্যান্য সরকারি আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে চলে যান বন্যার জল জমে থাকা এলাকায়। এক আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে তিনি জলে নেমে বেশ খানিকটা হেঁটে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এরপর ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের কয়েকজনের হাতে ত্রাণও তুলে দেন। শিবির পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল বিধায়ক, প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর।
এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ঘাটালের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করেছেন মমতা। একে ‘ম্যান মেড’ বন্যা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা সত্ত্বেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন। এ প্রসঙ্গে দলের সাংসদদের নির্দেশ দেন, দিল্লি গিয়ে যেন কেন্দ্রকে এ বিষয়ে চাপ দেওয়া হয়। এছাড়া কলকাতায় ফিরে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে তা কেন্দ্রের কাছে পাঠাবেন বলেও জানান। তিনি নিজেও আলাদা করে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান তৈরির জন্য কেন্দ্রকে আবেদন জানাবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.