সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির মতো তৃণমূল চোর নয়। টাকা দিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন মোদি। হুগলির ভদ্রেশ্বরের জনসভা থেকে ফের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জ, কোনও আইন মানছেন না। তাঁর প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত।’
এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় সম্মুখসমরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনীতির লড়াইয়ে কেউ কাউকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ। মঙ্গলবার যখন রাজ্যের আটটি লোকসভা আসনে ভোটগ্রহণ চলছে, তখন হুগলির শ্রীরামপুরে দলের প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জনসভা থেকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মমতাকে যেমন আক্রমণ করেন, তেমন রাজ্যে রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে তো বটেই, ২৩ মে এ রাজ্যেও গেরুয়া ঝড় বইবে। বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক। লোকসভা ভোটের ফল বেরোলেই তাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাবেন।’ প্রকাশ্য জনসভায় খোদ প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়। দল ভাঙানোর অভিযোগে মোদির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার ভদ্রশ্বরে হুগলি কেন্দ্রে দলের প্রার্থী রত্না দে নাগের সমর্থনে জনসভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘বাংলায় বিধায়ক কিনতে আসবেন না। চল্লিশ জন কেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন বিধায়কও বিজেপিতে যাবে না। চল্লিশ জন বিধায়ক যদি দলবদল করে, তাহলে দলত্যাগ বিরোধী আইনে পড়বে। প্রধানমন্ত্রী কোনও আইন মানছেন না, দল ভাঙানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর প্রার্থী বাতিল হওয়া উচিত।’ এদিন যথারীতি বাম-বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘একসময়ে সিপিএমের হার্মাদ ছিল, তারাই এখন বিজেপির ওস্তাদ। গত পাঁচ বছরে কোনও কাজ করেননি মোদি। বাংলায় বিজেপি গোল্লা পাবে।’ ভদ্রেশ্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় হাজির ছিলেন ভিখারি পাসোয়ানের মা। এ রাজ্যে একটি চটকলের শ্রমিক ছিলেন ভিখারি পাসোয়ান। বাম আমলে অভিযোগ উঠেছিল যে, তাঁকে খুন করে গঙ্গায় ফেলে দিয়েছে পুলিশ। আজও ওই চটকল শ্রমিকের খোঁজ মেলেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.