Advertisement
Advertisement

Breaking News

CM Mamata Banerjee

ঝাড়গ্রামের পর মেদিনীপুর সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী, আগামী মাসেই দলীয় সমাবেশ

মুখ‌্যমন্ত্রীর এই সম্ভাব‌্য সফরকে ঘিরেই ব‌্যস্ততা বেড়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। গোটা জেলা একপ্রকার চষে বেড়াচ্ছেন খোদ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।

CM Mamata Banerjee likely to visit West Midnapore on first week of March | Sangbad Pratidin

নিজস্ব চিত্র।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 18, 2024 9:29 pm
  • Updated:February 18, 2024 9:36 pm  

সম্যক খান, মেদিনীপুর: সামনে লোকসভা ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে যে কোনও দিন খুব কম সময়ের ব্যবধানে জেলা সফরে আসতে পারেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় (CM Mamata Banerjee)। সম্ভবত তিনি মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই আসবেন। আর তা মাথায় রেখেই একদিকে যেমন প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে, তেমনই তৃণমূলের তরফেও প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। তৃণমূলের মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার বক্তব্য, প্রশাসনিক সভা হবে কিনা তা প্রশাসনই বলতে পারবে। তবে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি দলীয় সমাবেশ করার পরিকল্পনা আছে। সেই সমাবেশে হাজির থাকবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়।

চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম (Jhargram) সফরে আসছেন মুখ‌্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক সূত্রে খবর তেমনই। তার পরেই হয়তো সফর করবেন পশ্চিম মেদিনীপুরে (West Midnapore)। মুখ‌্যমন্ত্রীর এই সম্ভাব‌্য সফরকে ঘিরেই ব‌্যস্ততা বেড়েছে প্রশাসনিক আধিকারিকদের। গোটা জেলা একপ্রকার চষে বেড়াচ্ছেন খোদ জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। সাম্প্রতিককালে সমস‌্যার সমাধান ও জনসংযোগ কর্মসূচিতে জেলার পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতে গিয়ে মানুষের সমস‌্যার কথা শুনেছেন জেলাশাসক। রীতিমতো চাটাই, মাদুর, ত্রিপল পেতে তার উপরই বসে শুনেছেন গ্রামবাসীদের কষ্টের কথা। চেষ্টা করেছেন সমাধানের। দিয়েছেন আশ্বাসও। আবার একশো দিনের কাজে জবকার্ড হোল্ডারদের তথ‌্য খতিয়ে দেখতেও নিজে পৌঁছে গিয়েছেন গ্রামে গ্রামে। ছুটছেন অন‌্যান‌্য অতিরিক্ত জেলাশাসক থেকে শুরু করে এসডিও, বিডিওরাও। উন্নয়নের জন‌্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিভাগকে নিয়েও করছেন পর্যালোচনা বৈঠক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাবা হচ্ছেন, স্ত্রীকে আদরে ভরা ছবি পোস্ট করে সুখবর দিলেন বরুণ ধাওয়ান]

 এদিকে আসরে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূলও (TMC) । মাত্র কয়েকদিন আগেই মুখ‌্যমন্ত্রী ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের ভাতা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। ৫০০ টাকার জায়গায় এখন থেকে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন মহিলারা। তার উপর কেন্দ্রের কয়েক হাজার কোটি টাকা বকেয়া থাকলেও একশো দিনের কাজের বকেয়া মজুরি মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন মুখ‌্যমন্ত্রী। এই দুটি ইস‌্যুকেই এবার লোকসভা ভোটে মূল ইস‌্যু করে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। তাই এদিন থেকেই জেলার প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় জবকার্ড হোল্ডারদের সুবিধার্থে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

[আরও পড়ুন: উত্তমের পর শিবু হাজরার উপরও কি সাসপেনশনের খাঁড়া? জবাব দিলেন সুজিত]

মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেছেন, তৃণমূল দল বরাবর দরিদ্র ও বঞ্চিতদের পাশে থেকেছে। একশো দিনের কাজ করিয়ে গ্রামের গরিব মানুষদের টাকা দেয়নি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এ রাজ‌্যের বিরোধী দল তথা বিজেপি নেতারা তাঁদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে উসকে দিয়ে সাধারণ গ্রামের গরিব মানুষজনকে নিজেদের পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছেন। দরিদ্র ও বঞ্চিতদের কথা বুঝেছেন একমাত্র গরিবদরদী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়। তাই তিনি কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী না থেকে রাজ‌্যের কোষাগার থেকেই দরিদ্র মানুষদের পাওনা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সেই কাজেই সাহায‌্য করার জন‌্য দলের পক্ষ থেকে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement