Advertisement
Advertisement
Mamata Banerjee

পাহাড়ের সব উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে একাধিক ঘোষণা

পাহাড় অশান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন জিটিএ-তে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল না। সেকারণেই পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করে রাজ্য সরকার। এই বোর্ডগুলিকে বার্ষিক নির্দিষ্ট একটি অনুদান দেয় রাজ্য।

CM Mamata Banerjee instructs Darjeeling development board's to be dissolved
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 12, 2024 8:33 pm
  • Updated:November 12, 2024 8:51 pm  

কিংশুক প্রামাণিক, দার্জিলিং: নজর উন্নয়ন এবং দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে গঠিত সবকটি উন্নয়ন বোর্ড পুনর্গঠনের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শুধু তাই নয়, এই নবগঠিত উন্নয়ন বোর্ডগুলির উপর ‘নজরদারি’র জন্য একটি আলাদা মনিটারিং সেলও গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মঙ্গলবার রিচমন্ড হিলে জিটিএ, দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠক থেকেই তিনি জানান, আগামী দেড় মাসের মধ্যে দার্জিলিংয়ের সমস্ত উন্নয়ন বোর্ডের পুনর্গঠন হবে। এই কাজটা শেষ হবে আগামী দেড় মাসের মধ্যে। এই বোর্ডগুলির কাজের ‘সুবিধা’র জন্য একটি মনিটারিং সেল তৈরি হবে বলে জানান মমতা। এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ডেভেলপমেন্ট বোর্ডগুলির পুনর্নির্মাণ করা হবে। এর জন্য জিটিএ চেয়ারম্যান, চিফ এক্সিকিউটিভ-সহ অন্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী দেড় মাসেই এই কাজ সম্পন্ন হবে। ততদিন পর্যন্ত যেভাবে কাজ চলেছে সেভাবেই চলবে।

Advertisement

আসলে ২০১৭ সালে পাহাড় অশান্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন জিটিএ-তে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিল না। সেকারণেই পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য ১৭টি আলাদা আলাদা বোর্ড গঠন করে রাজ্য সরকার। এই বোর্ডগুলিকে বার্ষিক নির্দিষ্ট একটি অনুদান দেয় রাজ্য। অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে এই বোর্ডগুলির কাজে গরমিল হচ্ছে। দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। মমতা এদিন জানিয়েছেন, রাজ্য স্তরে এবং মনিটারিং সেলের মাধ্যমে এই বোর্ডগুলির কাজের অডিট হবে। এই মনিটারিং সেলের চেয়ারম্যান হবেন জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা এবং মিরিক পুরসভার প্রশাসক এলবি রায়।

এ তো গেল উন্নয়ন বোর্ডের কথা, এর বাইরে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্যও একাধিক বড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তরুণ প্রজন্মকে বিভিন্ন কাজের উপযোগী করে তুলতে চারটি ‘স্কিল সেন্টার’ তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। যেখানে মূলত কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে নজর দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে একটি বড় মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণে ছাড়পত্র দিয়েছেন তিনি। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এর বাইরেও একাধিক ঘোষণা করেছেন মমতা। যাতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ অনীত থাপা। তিনি বলছেন, “দিদি যখন পাহাড়ে আসেন, তখন উপহার নিয়েই আসেন। আমরা বরাবর রাজ্য সরকারের সঙ্গে রয়েছি। পাহাড়ের উন্নয়ন নিয়ে আশাবাদী। আর অশান্তি নয়, উন্নয়ন চাই।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement