কিংশুক প্রামাণিক, জামুড়িয়া: ‘বদলে দিন দিল্লির সরকার, আসুন ব্রিগেড সমাবেশে’–১৯ জানুয়ারির ব্রিগেড কর্মসূচির আগে বৃহস্পতিবার জামুড়িয়ার সভা থেকে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, যারা দেশকে টুকরো টুকরো করে দিতে চাইছে, তাদের আর সমর্থন নয়। তথ্য দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আরবিআই থেকে সিবিআই, দেশের মানুষ বলছে বিজেপি টা-টা বাই বাই।”
[ কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে চটুল গানের সঙ্গে অশ্লীল নাচ, দেখুন ভিডিও]
জঙ্গলমহলের সফর শেষ করে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার পা রাখেন শিল্পাঞ্চলে। আসানসোলের জামুড়িয়াতে সরকারি সভা থেকে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দেন। নবগঠিত আসানসোল জেলায় রাজ্য সরকার কী কী উন্নয়ন করেছে, আগামিদিনে সাধারণ মানুষের জন্য আরও কী কী পরিকল্পনা রয়েছে, তাও জানান তিনি। বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বিজেপি ভোটের জন্য ভাগাভাগি করছে। বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি, গন্ডগোল বাধাচ্ছে। দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, তিনি দেশকে বিক্রি হতে দেবেন না। ভোটের জন্য তৃণমূল কখনও ভাগাভাগি করে না, তাও জানিয়ে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “বাংলায় সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান রয়েছে। সবাই এক সঙ্গে থাকেন। ধর্ম আলাদা হলেও সবাই সব উৎসবে একসঙ্গে আনন্দ উপভোগ করেন। এটাই বাংলার সংস্কৃতি।”
বিজেপি দাঙ্গা করে, অশান্তি বাধিয়ে, মানুষের মধ্যে বিভাজন ঘটাতে চায় বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ড থেকে মাথায় ফেট্টি বেঁধে বাংলায় লোক ঢুকিয়ে অশান্তি বাধানোর পরিকল্পনা বিজেপি করছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ঝাড়খণ্ড-সহ পড়শি রাজ্যের সঙ্গে বাংলার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বাংলা ভাল থাকলে ঝাড়খণ্ডও ভাল থাকবে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই ভাগাভাগি নয়।” বিভাজনের রাজনীতির জন্য দেশের সরকার বদলে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের ঐতিহাসিক সভায় দেশের ১৮ থেকে ২০টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব হাজির থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বদলের ডাক’ নিঃসন্দেহেই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[ নদী পার হয়ে গুলবারের চোলাই ঠেকে আসত গরিবের ‘গরল’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.