Advertisement
Advertisement

এনআরসি-র জন্য বাড়ছে আত্মহত্যা, কোচবিহারে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী

“অসমে বাঙালি খেদাও আর গুজরাটে গিয়ে বিহারি খেদাও, এই তো চলছে।”

CM Mamata Banerjee attacks centre on NRC
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:October 30, 2018 3:24 pm
  • Updated:June 22, 2022 3:37 pm  

কিংশুক প্রামাণিক, কোচবিহার: নাগরিকপঞ্জির জন্য আত্মহত্যা করছে মানুষ। ওরা যাকে তাড়াবে তাকেই আশ্রয় দেবে বাংলা। নাম না করে বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে নাগরিকপঞ্জি নিয়ে নিজের অবস্থান আরও একেবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

[ জলের অভাবে নষ্ট ফসল, আউশগ্রামে ঋণের দায়ে আত্মঘাতী কৃষক]

Advertisement

প্রতিবেশী রাজ্য অসম। পাশের জেলা কোচবিহারের এক জনসভায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, “অসমে এনআরসির আতঙ্কে মানুষ তাঁদের মর্যাদা হারাচ্ছেন। স্ত্রী, ছেলে, মেয়ের নাম থাকলেও স্বামীর নাম নেই। সেই পরিবারের কর্তা ভাবছেন, আর বোধহয় তাঁকে কেউ বাবা বলে ডাকবে না। কেউ তাঁকে স্বামী বলে মান দেবে না। আত্মমর্যাদা হারিয়ে তাই অসমে মানুষ এখন আত্মহত্যা করছে। আবার গুজরাটে বিহারের বাসিন্দাদের উপর হামলা হচ্ছে। বিহারি হওয়ার অপরাধে গুজরাট থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলায় এসব হবে না। যাঁদের তাড়াবে, তাঁদের আশ্রয় দেবে বাংলা। মাথা উঁচু করে মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে বাংলায়।”

সরকারি অনুদান প্রকল্প ঘোষণার পাশাপাশি একাধিক পরিষেবা প্রদান ও শিলান্যাস অনুষ্ঠান ছিল কোচবিহারে। সেই সভা থেকেই কেন্দ্রকে নিশানা করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এনআরসি নিয়ে এর আগের সভাতেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। মঙ্গলবারও অসমের এনআরসি ইস্যুতে কোচবিহারে দাঁড়িয়ে সরব হলেন মমতা। আগেই ছিটমহল নিয়ে রাজ্য সরকারের সফল কর্মসূচির কথা তুলে ধরেছিলেন। এদিন ফের সেই ইস্যুতে তুলেই এনআরসি নিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন কেন্দ্রকে। লাগাতার আক্রমণ করে বললেন, “বাংলাকে অসমের মতো হতে দেব না। ৪০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ চলে গিয়েছে এনআরসির জন্য। অসমে বাঙালি খেদাও আর গুজরাতে গিয়ে বিহারি খেদাও, এই তো চলছে।” মমতার কথায়, “আর কেউ পাশে না থাকলে বাংলা থাকবে। বাংলা তাঁদের আশ্রয় দেবে। মাথা উঁচু করে আত্মমর্যাদা নিয়ে বাঁচবে এই বাংলায়।”

বিজেপির বিরুদ্ধে ভাগাভাগির রাজনীতি নিয়েও ফের এদিন সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, “মারামারি, রক্তারক্তি করে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে বাঁচা যায় না। সকলকে একসঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। চোরের মায়ের বড় গলা।” ভাগাভাগির রাজনীতি নিয়ে অভিযোগের পাশাপাশি ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ নিয়েও তোপ দাগেন কেন্দ্রকে। কন্যাশ্রীর তুলনায় কেন্দ্রের এই প্রকল্পের কোনও মূল্য নেই বলে অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বেটি বাঁচবে কী করে? আর পড়বেই বা কী করে? এত কম পয়সা দিলে কী করে কী করবে? প্রকল্প রূপায়ণ করবে কি, বিজ্ঞাপনেই তো টাকা চলে যাচ্ছে কেন্দ্রের। আর ৬ হাজার কোটি টাকা বছরে খরচ হয় রাজ্যে কন্যাশ্রীর প্রকল্প রূপায়ণ করতে।” তাঁর কথায়, “বাংলার মেয়েরাই বাংলার মর্যাদা ফিরিয়ে আনবে। স্কুল থেকে কলেজ, চাইলে তারও পরে উচ্চশিক্ষায় রাজ্য সরকার তাদের পাশে দাঁড়াবে।

[ কুয়েতে কাজে গিয়ে রহস্যমৃত্যু নদিয়ার যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement