দীপঙ্কর মণ্ডল: রানিগঞ্জের সভা থেকে বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপি (BJP) কর্মী উলেন রায়ের মৃত্যুর জন্য গেরুয়া শিবিরকেই কাঠগড়ায় তুললেন তিনি। সুর চড়ালেন কেন্দ্রের একাধিক নীতির বিরুদ্ধে।
একুশের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মঙ্গলবার রানিগঞ্জে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই বিজেপিকে একহাত নেন তিনি। উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত উলেন রায়ের নাম না করেই দাবি করেন গোটা ঘটনা পদ্মশিবিরের চক্রান্ত। বলেন, “নির্বাচনের আগে কুৎসা রটাতেই দলীয় কর্মীদের হত্যা করছে বিজেপি। ছরড়া দিয়ে মানুষ মারছে।” একাধিক কেন্দ্রীয় সংস্থা বেসরকারিকরণ ইস্যুতে কড়া ভাষায় মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “বিজেপি কিছু দেবে না। ভোটের আগে অনেক কিছু বলবে। ওদের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে। একদিন ভোটের জন্য ৫ হাজার টাকা দেবে। বাকি ৩৬৪ দিন কীভাবে চলবে? কোনওদিন খেতেও দেবে না। রাস্তায় বেরতেও দেবে না।” এদিন ফের বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ‘বহিরাগত গুন্ডা’ বলে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওনারা এসে বাংলায় ভাগ করতে চাইছে। এরা বাংলায় এনআরসি করতে চায়।”
রানিগঞ্জের সভা থেকে ফের হুঙ্কার ছুঁড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাকে কোনওভাবেই গুজরাট হতে দেব না।” মঞ্চ থেকে সবর্ধম সমন্ময়ের ডাক দেন তিনি। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে একসঙ্গে বাংলায় বাস করার আহ্বান করেন। প্রতিশ্রুতি দেন কর্মসংস্থানের। সকলের পাশে থাকার। মনে করিয়ে দেন, মমতা সরকার কীভাবে বিপদে-আপদে সব পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.