Advertisement
Advertisement

Breaking News

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গ্রামবাংলার ২ কোটি পরিবার পাবে পরিশ্রুত পানীয় জল, ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গ্রামে-গ্রামে তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।

CM Mamata announces new project for drinking water supply
Published by: Paramita Paul
  • Posted:July 6, 2020 5:03 pm
  • Updated:July 6, 2020 5:13 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফান-করোনা, জোড়া বিপর্যয় সামাল দিচ্ছে রাজ্য। তারমধ্যেও বাংলার উন্নয়ন আটকে নেই। সোমবার গ্রামবাংলার বাসিন্দাদের জন্য নয়া প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রকল্পের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রামের দু’কোটি মানুষের কাছে পরিস্রুত জল পৌঁছে যাবে বলে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে  গ্রামে-গ্রামে তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।

স্বাধীনতার পর কেটে গিয়েছে ৭২ বছর। তারপরেও দেশের বহু মানুষ পরিস্রুত পানীয় জল পান না। বহু দূর থেকে পানীয় জল নিয়ে আসতে হয় তাঁদের। বাংলা নদীমাতৃক  হওয়া সত্ত্বেও বহু মানুষকে সামান্য পানীয় জলের জন্য কষ্ট করতে হয়। তাঁদের সেই কষ্ট অনুভব করতে পেরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাই জোড়া বিপর্যয়ের সামাল দিয়েও নবান্ন থেকে নয়া প্রকল্পের শিলান্ন্যাস করলেন মমতা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন : ‘চ্যানেলগুলো আমাদের পারিশ্রমিকটাও ভাবুক’, মমতাকে আরজি আর্টিস্ট ফোরামের]

এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন ‘জলস্বপ্ন’।  এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের দু’কোটি মানুষের কাছে পরিস্রুত জল পৌঁছে যাবে।  জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি (PHE) দপ্তরের অধীনে ৫৮ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের কাজ চলবে। শেষ হতে পাঁচ বছর সময় লাগবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এত বেশি সময় কেন লাগবে তাও ব্যাখ্যা করেন তিনি।  গ্রামবাংলায় এই প্রকল্পের কাজ হবে। প্রচুর মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেবে এই প্রকল্প। তাই অনেকটা বেশি সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

এদিন টলিউডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠক শেষের পর একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে অন্যতম হল এই ‘জলস্বপ্ন’। একে তাঁর ‘স্বপ্নের প্রকল্প’ বলেও উল্লেখ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “এই প্রকল্পকে নিয়ে স্বপ্ন দেখুন। গর্ব অনুভব করুন। গান বাঁধুন। জলস্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে মা-বোনেদের দূরে গিয়ে জল আনতে হবে না। তৈরি হবে কর্মসংস্থানও।”

[আরও পড়ুন : অর্থাভাবে মেলেনি চিকিৎসা, রাষ্ট্রপতির কাছে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধের]

মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন আপামর রাজ্যবাসী। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের পিছনেও রাজনীতি দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের কথায়, আমফান বা করোনার জন্য তো আর নির্বাচন আটকে থাকবে না। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচন। তৃণমূলকে টক্কর দিতে জানপ্রাণ লড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। এদিকে গত পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনে গ্রামাঞ্চলের ফলাফল তৃণমূলের আশানুরূপ হয়নি। এবার সেই ভোট নিজের ঝুলিতে ভরতেই সোমবার মাস্টারস্ট্রোক  দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement