সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: উচ্চতা ৪০ ফুট৷ দীর্ঘ উচ্চতার ক্লক টাওয়ারই এখন শৈলশহর দার্জিলিংয়ের অন্যতম দ্রষ্টব্য৷ সদর থানা থেকে ১০০ মিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত এই টাওয়ারটি শহরের অন্যতম ল্যান্ডমার্ক হিসেবে নজর কাড়ছে৷ তবে, দার্জিলিং শহরের বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকা ক্লক টাওয়ার নির্মাণ হলেও এর আসল উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দর্শনীয় সৌধ হিসেবেই নয়, এখন থেকে এটি ব্যবহার করা হবে অগ্নি নির্বাপণের জন্য৷
কীভাবে অগ্নি নির্বাপণের কাজ করবে এই ক্লক টাওয়ার? পরিকল্পনা ফাঁস করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রোটারি ক্লাব অব দার্জিলিং। শহরের লাদেনলা রোডে দার্জিলিং পুরসভার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ২৭ লক্ষ টাকা খরচ করে টাওয়ারটি তৈরি করেছে তারা। ৪০ ফুট উঁচু এই টাওয়ারটি আসলে একটি আস্ত জলের ওভারহেড ট্যাঙ্ক৷ যার বইরে রয়েছে সুদৃশ্য গ্রানাইট পাথর৷ ভিতরে থাকছে ১২ হাজার লিটারের একটি ট্যাঙ্ক৷ একেবারে উপরের তা বসানো থাকছে। সামনে ঘড়ি দিয়ে ঢাকা৷ পিছনে জলাধারটি পুরসভার হাইড্র্যান্টের সঙ্গে সরাসরি পাইপলাইন দিয়ে যুক্ত।
[ফেসবুকে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে যৌনকর্মী পরিচয়, পুলিশের দ্বারস্থ কলেজ ছাত্রী]
বিপদের সময় দমকল আসতে দেরি হলে তাৎক্ষণিকভাবে বড় পাইপ দিয়ে ট্যাঙ্কের জল খুলে দেওয়া হবে। জজবাজার, চকবাজার, ম্যাল প্রভৃতি জনবহুল এলাকায় আগুন লাগলে তৎক্ষণাৎ জল পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। যতক্ষণ না দমকল আসে৷ এমনকি, দমকলের জল যদি ফুরিয়ে যায়, তাহলে তারাও এই ট্যাঙ্ক থেকে জল ভরে নিতে পারবে৷ পাশাপাশি হাইড্র্যান্টের সঙ্গে যুক্ত থাকায় একই সঙ্গে যখন দমকলে জলভরা চলবে, ট্যাঙ্কও জলে পূর্ণ করা চলতে থাকবে৷ এটি দার্জিলিং শহরের নিরাপত্তার খাতিরে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই৷ জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা আশাবাদী, ট্যাঙ্কটি অত্যন্ত কার্যকর হবে। বিষয়টি অত্যন্ত সময়োচিত বলে দাবি করেছেন জিটিএ চেয়ারম্যান বিনয় তামাংও। তিনি বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ। সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবে।”
[অধ্যক্ষের বদলি রুখতে রক্তাক্ত আন্দোলনে শামিল পলিটেকনিক পড়ুয়ারা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.