স্টাফ রিপোর্টার: পৌষের তৃতীয় দিনে উধাও বৃষ্টি৷ বুধবার সকালে আকাশে উধাও মেঘ৷ হাড়কাঁপানো ঠান্ডার আমেজ গোটা রাজ্যে৷ আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, বড়দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে শীত৷ আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.১ ডিগ্রি৷ মরসুমের শীতলতম দিন তিলোত্তমার৷
ক্যালেন্ডার বলছে, মাসটা ডিসেম্বর। কিন্তু মঙ্গলবার দিনভর বাঙালির মননে যে তুমুল বর্ষার আমেজ। বাংলায় ডিসেম্বর মানেই সোনা সোনা রোদ। হিমেল হাওয়া। কুয়াশামাখা সকাল। নলেন গুড়ের মিঠে গন্ধ। কিন্তু কোথায় কী? মঙ্গলবার সকাল থেকে বিরামহীন বৃষ্টি। ভেজা বাতাসের দাপটে সারা শরীরে থরহরিকম্প! হবে নাই-বা কেন? বস্তুত, সোমবার যে বৃষ্টি ছিল ঝিরঝিরে, মঙ্গলবার সেটাই কার্যত টানা বর্ষণের আকার নিয়েছে। সান্দাকফুতে শুরু হয়েছে তুষারপাত। দার্জিলিংয়েও পারদ নেমে গিয়েছে অনেকটাই।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফেতাই’-এর প্রভাবে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছিল বৃষ্টি। ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ছিল ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সোমবার অন্ধ্রের উপকূলে আছড়ে পড়ার পর থেকেই এ রাজ্যেও বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। এদিন দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টি চলছে। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বেশি। রাস্তায় বেরিয়ে বিপাকে পড়েছেন অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। একে বৃষ্টি, তার উপর হাড় কাঁপানো শীত। এই কাদা প্যাচপ্যাচে রাস্তায় পা ফেলতেই ইচ্ছে কার আর করে আজ! আর এহেন মনের মতো উইকেট পেয়ে বাঙালির হেঁশেল থেকে নলেন গুড়কে ছিটকে দিয়ে একদিনের জন্য রাজা হয়ে জাঁকিয়ে বসল আদি ও অকৃত্রিম খিচুড়ি। ঘোর শীতকালে এমন ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ বর্ষাদিনে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে খিচুড়িই হয়ে ওঠে থিম সং।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আপাতত বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই। দুর্যোগ কেটে গিয়ে আজ বুধবার থেকেই পরিষ্কার আকাশ। হুহু করে নামছে তাপমাত্রা। শীতের এই নয়া ইনিংসে কলকাতার তাপমাত্রা ১০-এর নিচে নেমে আসতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। কেন্দ্রীয় হাওয়া অফিসের উপ মহানির্দেশক সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়েই শুরু হবে জাঁকিয়ে ঠান্ডা। এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে বড়দিন পর্যন্ত।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.