স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্য কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রয়েছেন এরকম ১৩ জনকে দল থেকে বাদ দিতে চলেছে বিজেপি৷ ওইসমস্ত রাজ্য নেতার নামের তালিকাও তৈরি হয়ে গিয়েছে৷ বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
বৃহস্পতিবার দলের সদর দফতরে রাজ্য পদাধিকারীদের একটি বৈঠক হয়৷ সেখানেই ওই ১৩ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়৷ বাদ পড়াদের মধ্যে কয়েকজন প্রবীণ নেতাও রয়েছেন৷ বর্তমানে যাঁরা বয়সজনিত কারণে দলের কাজে সময় দিতে পারছেন না৷ এছাড়া, ফেসবুকে দলের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছেন এরকম কয়েকজনকেও বাদ দেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি ভাবমূর্তি ঠিক নয়, ভবিষ্যতে দলকে তাঁদের জন্য সমস্যায় পড়তে হতে পারে, এরকম কয়েকজনও রয়েছেন বাদ পড়ার তালিকায়৷ কাদের বাদ দেওয়া হয়েছে সেই নাম জানতে চাওয়া হলে বিজেপি সভাপতি এদিন বলেন, জানুয়ারিতে মালদহে অনুষ্ঠিত রাজ্য কমিটির বর্ধিত সভায় যাঁদের দেখা যাবে না ধরে নেওয়া যাবে তাঁরাই দল থেকে বাদ পড়েছেন৷ তবে শুধু এই ১৩ জনই নন, আগামিদিনে দলের সমস্ত স্তরেই ঝাড়াই বাছাই করা হচ্ছে এবং তালিকাও তৈরি হচ্ছে বলে এদিন রাতে জানান বিজেপি সভাপতি৷ রাজ্য থেকে ব্লক কমিটি, সব স্তরেই নিষ্ক্রিয় এবং যাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে সেইসব নেতা-কর্মী কয়েক মাসের মধ্যেই দল থেকে বাদ দেওয়া হবে৷ এ থেকে স্পষ্ট, রাজ্য বিজেপি দলে শুদ্ধিকরণের পথেই হাঁটতে চাইছে৷ শুধু তাই নয়, দু’টি পৃথক ঘটনায় গত পুরভোটে সল্টলেকে দলের প্রার্থী হওয়া চিকিৎসক দিলীপ ঘোষ ও গত বিধানসভা ভোটে রানিগঞ্জে দলীয় প্রার্থী মণীশ শর্মার গ্রেফতারের ঘটনার পর সতর্ক বিজেপি৷ শিশু পাচার কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন চিকিৎসক দিলীপ ঘোষ৷ আর কলকাতায় অস্ত্র কিনতে আসা কয়লা মাফিয়াদের সঙ্গে গ্রেফতার হয়েছেন মণীশ শর্মা৷ যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি, চিকিৎসক দিলীপবাবুর সঙ্গে বর্তমানে দলের কোনও যোগাযোগ ছিল না৷ অন্যদিকে মণীশ শর্মাকে আগেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল৷ তবে এধরনের কয়েকটি ঘটনায় দলের লোকজন যুক্ত হয়ে পড়ায় সতর্ক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷ এই ধরনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নতুন যাঁরা দলে আসবেন তাঁদের ক্ষেত্রে স্ক্রিনিং করে নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই হয়েছে৷ অপরদিকে যাঁরা বর্তমানে দলে রয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ কিংবা ওইসব নেতাকে ঘিরে কোনও বিতর্ক থাকলে দলীয় স্তরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও এদিন সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
এদিকে, নোট বাতিল ইস্যুতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ নৈতিকতা থাকলে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত৷ এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে পাল্টা সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ দিলীপবাবুর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী কেন দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে রাজ্যের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাইছেন না৷ আসলে এই ইস্যুটিকে জিইয়ে রেখে রাজনীতি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিজেপি সভাপতির দাবি, পর্যাপ্ত পরিমাণে পাঁচশো টাকার নোট চেয়ে তিনি অরুণ জেটলিকে চিঠি লিখেছিলেন৷ বুধ ও বৃহস্পতিবার মিলিয়ে রাজ্যের জন্য ১৩০ কোটি টাকার পাঁচশো টাকার নোট পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.