অর্ক দে, বর্ধমান: হাত ভেঙে যাওয়ায় বেশ কয়েক দিন স্কুলে আসতে পারেনি কিশোর। তাই তাকে পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেই হতাশায় ‘আত্মহত্যা’ করল এক স্কুল পড়ুয়া। সোমবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের শক্তিগড়ে। এই ঘটনার পর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি পলাতক বলেই সূত্রের খবর।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিগড়ের বাসিন্দা ওসমান গণি চৌধুরি। বয়স ১৫ বছর। সফগড় হাসমিন হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। আগামী বছর মাধ্যমিক দেওয়ার কথা। দিন কয়েক আগে তার হাত ভাঙে। ফলে স্কুল যেতে পারছিল না সে। সোমবার থেকে স্কুলে ইউনিট স্টেট শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবেই সে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল।
স্কুল ও পরিবার সূত্রের দাবি, ওসমানকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়নি। বলা হয়েছিল, পরীক্ষায় বসার জন্য প্রয়োজনীয় উপস্থিতি তার নেই। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল ওসমান। দুপুরে খাবার খেতে ডাকা হয় তাকে। কিন্তু সে ঘর থেকে বের হয়নি। ঘরে ঢুকে দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে ওসমান। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মঙ্গলবার পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হদিশ মিলছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.