নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ইদ উপলক্ষে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন দুই গোষ্ঠীর চরম সংঘাত। তার জেরে বাড়ি ভাঙচুর। বেশ কিছুক্ষণ এলাকায় চলে ইটবৃষ্টি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুরে তুমুল উত্তেজনা। অভিযোগ, জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলামের গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তির জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বিশাল পুলিশবাহিনী এলাকায় পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সোমবার বীরভূমের সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুরে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলছিল। অভিযোগ, তারই মাঝে বেশ কয়েকজন আসে। খেলা চলাকালীন মাঠের আশপাশের বাড়িতে বেশ কয়েকজন যুবক ঢিল ছুড়তে থাকে। বাড়ি ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। এলাকার পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তার ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। অঞ্চল সভাপতি শেখ জালালউদ্দিনের দাবি, “ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম ক্ষমতা হারিয়ে নেশাগ্রস্ত লোকজনকে নিয়ে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। তারা বেশ কয়েকজনকে এলাকায় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঢুকিয়ে সকলকে মারধর করেছে।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রওশোনা বিবির বাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলেই অভিযোগ। দাবি, তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় গ্রামেরই কয়েকজন যুবক। তারাই বাড়ি ভাঙচুর করে। ঢিল মারে।
ঢিলের ঘায়ে বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে বাকিদের। যদিও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে নারাজ ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “গ্রামে একটি সাধারণ খেলা চলছিল। সেই সময় অশান্তি হয়েছে। কোনও গোষ্ঠী সংঘাত নেই। এই ধরনের ঘটনা না ঘটাই উচিত। পুলিশ অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” এদিকে, বীরভূমের মতো কোচবিহারেও অশান্তি শুরু হয়েছে। ১ নম্বর ব্লকের সুটকা বাড়ি এলাকায় ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ আহত হয়েছেন এক তৃণমূল নেতা। জখম আশরাফুল হক, কোচবিহার জেলা মিডিয়া সেলের কো-অর্ডিনেটর। তাঁকে এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.