সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্দেশখালিতে রাজনৈতিক সংঘর্ষে দলীয় কর্মীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় রবিবার রাজ্যজুড়ে চলছে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল৷ আর সেই মিছিল ঘিরেই নতুন করে অশান্তি বাঁধল কোচবিহারের শীতলকুচিতে৷ চলল গুলি৷ পায়ে গুলি লেগে জখম হয়েছে জেলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মনের ছেলে জনক বর্মন৷ বুকে ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত হয়েছে তরণী বর্মন নামে আরও যুবক৷ আহতরা মাথাভাঙা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে৷ সন্ধেবেলা এমন অশান্তির জেরে আতঙ্কিত শীতলকুচিবাসী৷ দোকানপাট বন্ধ করে সকলে বাড়ির ভিতরে আশ্রয় নিয়েছেন৷
কোচবিহার জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মনের কথায়, ‘সন্দেশখালিতে বিজেপি কর্মীদের খুনের প্রতিবাদে সারা রাজ্যের সঙ্গে শীতলকুচিতেও পথ অবরোধ করা হয়৷ তা সেরে আমাদের কর্মীরা বাড়ি ফিরছিলেন৷ সেসময় বাগমারা এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়৷ এরপর শীতলকুচি বিভিন্ন এলাকায় বারোমাসিয়া, গোলনাহাটি, পূর্ব শীতলকুচি, পাগড়িমারি, লালবাজার এলাকায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হয়৷ এরপর দলে দলে কয়েকজন শীতলকুচির দিকে এগোতে শুরু করে৷আমার বাড়ির পাশে কৃষি ফার্মের কাছে ছেলে দাঁড়িয়েছিল৷ ওর পা লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়৷ এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের মদত রয়েছে৷’
এসব অভিযোগ অস্বীকার সম্পূর্ণ করেছেন শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন৷ তাঁর পালটা অভিযোগ, ‘বিজেপির মিছিল থেকেই হামলা চালানো হয়৷ সাধারণ মানুষ তার প্রতিবেদ করেছিলেন৷ এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ বিজেপিই উসকানি দিয়ে অশান্তি করছে৷’ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিনয় বর্মনের অভিযোগ, বিজেপির মিছিল থেকে বেশ কয়েকজন প্রবীণ মানুষকে মারধর করা হয়েছে৷ হাসপাতাল মোড়ে দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে৷ তাঁর আরও কটাক্ষ, গুজরাট কাণ্ডের পর এরাজ্যে এসে বিজেপি অশান্তি বাঁধানোর চেষ্টা করছে৷
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশি সক্রিয়তা বেড়েছে৷ জেলা পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে জেরা চলছে৷ এলাকায় নিরাপত্তার স্বার্থে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ৷ গোটা বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন এসপি৷
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.