শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: কলেজে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে উত্তেজনা ছিলই। বৃহস্পতিবার টিএমসিপি ও এবিভিপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল কলেজ। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক-পুত্র তুফান দলুইকেও এবিভিপি সমর্থকরা মারধর করেন বলে অভিযোগ।
ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদ রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপির দখলে। সাধারণ সম্পাদক তুফান দলুই। তিনি আবার ঘাটালের বিধায়ক শংকর দলুইয়ের ছেলে। টিএমসিপির অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে যখন বাইকে চেপে কলেজে আসছিলেন তুফান, তখন মাঝ রাস্তায় তাঁকে ঘিরে ধরেন এবিভিপি সমর্থকরা। বাইকে থেকে নামিয়ে ঘাটাল কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদককে মারধর করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘাটাল কলেজে। কলেজের সামনে সংঘর্ষে ছড়িয়ে পড়েন টিএমসিপি ও এবিভিপি-র সমর্থকরা। রীতিমতো লাঠি হাতে এলাকায় দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন ছাত্রকে। এমনকী, ঘাটাল কলেজ লাগোয়া বেশ কয়েকটি দোকানেও ভাঙচুর চলে অভিযোগ। শেষপর্যন্ত পুলিশ গিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ থেকে ১৫ জনকে আহত হয়েছেন বলে খবর।
বস্তুত, বুধবার থেকে চাপা উত্তেজনা ছিল ঘাটাল কলেজে। এবিভিপি-র অভিযোগ, নির্বাচন না করিয়ে কলেজের ছাত্র সংসদটি নিজেদের দখলে রেখেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। যখন-তখন কলেজে ঢুকে পড়ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকরা। তাঁরা কেউ ঘাটাল কলেজের পড়ুয়া নন। স্থানীয় বাসিন্দার জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে বহিরাগতদের আনাগোনা নিয়ে ঘাটাল কলেজে টিএমসিপি ও এবিভিপি-র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আহত হন ৫ জন। ঘটনার প্রতিবাদে ঘাটাল কলেজের রাস্তা অবরোধও করেছিলেন বিজেপি সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার ফের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঘাটাল কলেজে।
প্রসঙ্গত, গত দু’বছর ধরে রাজ্যের কোনও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। বেশিরভাগ কলেজের ছাত্র সংসদ এখনও টিএমসিপির দখলে। দিন কয়েক আগে নির্বাচন দাবিতে এবিভিপি-র স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল নদিয়ার রানাঘাট কলেজ। আক্রান্ত হন পুলিশকর্মীরাও।
ছবি: সুকান্ত চক্রবর্তী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.