শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের সংঘর্ষ। সাতসকালে গুলি চলল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেলেন একজন। জখম দুই। তাঁরা ভরতি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, মৃত সামিরুল হক তাদের দলের কর্মী।
[ মমতার কাছেই তিনসুকিয়া গণহত্যার জবাব চাইলেন তৃণমূল কাউন্সিলর!]
ঘড়িতে তখন সকাল ন’টা। চোপড়ার লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কমলগজ এলাকায় কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বাঁধে। বচসা চলাকালীনই আচমকাই গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সামিরুল হক। গুরুতর জখম হন আরও ২ জন। তাঁদের ভরতি করা হয় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার সকালে লক্ষ্মীপুর পঞ্চায়েতেরই মালিগাঁও গ্রামে কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চড়াও হন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। এই নিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত্র। সকাল ন’টা কমলগজ এলাকায় দুই দলের সমর্থকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তখনই গুলি চলে। মারা যান সামিরুল শেখ। জখম হন আরও দু’জন।
নিহত সামিরুলের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার নন্দগজ এলাকা। কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায়ের দাবি, নিহত ও আহতেরা দলের কর্মীরা। এদিকে আবার চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক হামিদুর রহমানের বক্তব্য, বচসা চলাকালীন কংগ্রেস কর্মীরাই প্রথমে গুলি চালিয়েছিলেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভরতি তাঁদের দলের দুই কর্মী। তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে সাতসকালে গুলি চালনার ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়িয়ে চোপড়ায় কমলগজে। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
[ট্রাফিক সচেতনতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ, রঙিন হল আসানসোলের রাস্তা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.