Advertisement
Advertisement

Breaking News

Clash in Durgapore

শ্রমিক সংগঠনের গোষ্ঠীসংঘর্ষে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, বাড়ছে আতঙ্ক

সোমবারও থমথমে আমরাই গ্রাম, মোতায়ন পুলিশ৷

Clash broke out between two labour union in Durgapur
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 10, 2019 2:08 pm
  • Updated:June 11, 2019 12:13 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত দুর্গাপুর। রবিবার রাতে আক্রমণ করা হয় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি বাইক। সোমবার ও থমথমে এলাকা। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

[আরও পড়ুন: নদীর জলে ভেসে আসছে ট্যারান্টুলা! সতর্ক করল বনদপ্তর]

কিছুদিন ধরেই ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। কয়েকদিন আগে আইএনটিইউসি জেলা সভাপতি তথা কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালের অনুগামীরা ঠিকা কর্মীদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে ডিএসপি কারখানার গেটে অবস্থান করেন। আবার আইএনটিটিইউসি-র প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের অভিযোগ, বিগত কয়েকদিন ধরে কারখানায় ঢুকতে গেলেই ঠিকা কর্মীদের গেট পাস ছিনিয়ে নিচ্ছে বিশ্বনাথ পারিয়ালের দলবল। এই নিয়ে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বোমাবাজিও করে দু’পক্ষ। দু’দলের বিবাদের রেশ গিয়ে পড়ে দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামে। কারণ, এই গ্রামেই বাস ডিএসপি ঠিকা শ্রমিক সংগঠনের মূল দায়িত্বে থাকা প্রভাতবাবুর অনুগামী শেখ সাহাবুদ্দিন, শেখ আতাহার, শেখ আজিমুদ্দিননের। আবার কংগ্রেস বিধায়ক ও আইএনটিইউসির জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ পারিয়ালের অনুগামী আমিনুর রহমানের বাড়িও এই আমরাই গ্রামেই।  

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিয়ের পর সংসার করা হল না জেমুন্নাসার, স্বামী কায়ুম মোল্লার মৃত্যুতে স্তব্ধ স্ত্রী]

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে পাঁচ জন যুবক বাইক আমরাই মোড়ে যায়। শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে ওই ৫ যুবক। সেই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁরা সাময়িকভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। অভিযোগ, এরপর প্রায় ১৬টি বাইকে ৩০ থেকে ৩৫ জন দুষ্কৃতী ঘটনাস্থলে হাজির হয়। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কার্যালয়ের বাইরে থাকা কর্মীদের উপর এলোপাথারি হামলা চালায় তারা। আহত হন ৫-৬ জন তৃণমূল নেতা। এরপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বেশ কয়েকটি বাইকে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের প্রত্যেকের হাতেই অস্ত্র ছিল। আতঙ্কে দোকান বন্ধ করে দেন আমরাই মোড়ের ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। নামানো হয় কমব্যাট ফোর্স। অভিযোগ, সেই সময় ফের তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণের হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। রাতে আবারও হামলা চলে  তৃণমূল কর্মীদের উপর। ঘটনার জেরে সোমবার সকাল থেকেও থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement