ধীমান রায়, কাটোয়া: বর্ধমান শহরে শাসকদলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে বুধবার সন্ধেয় নিহত হয়েছেন এক যুবক। তাঁর কয়েকঘণ্টা ব্যবধানে ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠীকোন্দল। বুধবার গভীর রাতে পূ্র্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের জয়কৃষ্ণপুরে সংঘর্ষে জড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সদস্যরা। আহত হয়েছেন দু’পক্ষের ৬ জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাদের মূলে আউশগ্রামের বেরেণ্ডা পঞ্চায়েত এলাকার বেরেণ্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জয়কৃষ্ণপুর মির্ধাপাড়া পর্যন্ত রাস্তা। ওই রাস্তা নিয়েই ব্লকস্তরের নেতা আকবর শেখের সঙ্গে গ্রামের ৪ নম্বর সংসদের তৃণমূল সভাপতি লতিফ মণ্ডলের দ্বন্দ্ব বহুদিনের। তাই রাস্তা তৈরির বরাত পেয়ে দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই কাজ শুরু করেছিলেন ঠিকাদার। সেই ঘটনার রেশ ধরেই বুধবার রাতে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে দু’পক্ষের মধ্যে। আহত হন লতিফ মণ্ডল-সহ উভয়পক্ষের ৬ জন।
এপ্রসঙ্গে লতিফ শেখের ছেলে ইমদাদুল শেখের অভিযোগ, “আকবর শেখ ও তাঁদের লোকজন চাইছিল রাস্তার কাজে ঠিকাদারের সঙ্গে রফা করে তোলা আদায় করতে। তাই গ্রামের লোকজনের ওদের এ বিষয়ে নাক গলাতে দিতে চায়নি। সেই কারণেই এই হামলা।” অন্যদিকে, আকবর শেখের পালটা অভিযোগ, “লতিফ দলের নাম ভাঙিয়ে আগে টাকাপয়সা তছরুপ করেছে। তখন থেকে দল থেকে তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেই পুরানো আক্রোশের জেরে অশান্তি, হামলা।” এ প্রসঙ্গে বেরেণ্ডার তৃণমূল সভাপতি হালিম শেখ বলেন, “রাস্তার কাজ নিয়ে কোনও ঝামেলা হয়নি। পুরানো বিবাদের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আমরা দলে এ নিয়ে আলোচনা করছি।” প্রসঙ্গত, কয়েকদিনের লাগাতার সংঘর্ষের জেরে এখনও থমথমে এলাকা। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.