সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: এবিভিপির স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দুর্গাপুর গভর্মেন্ট কলেজ চত্বর। দফায় দফায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে এবিভিপি-টিএমসিপি দু’পক্ষই। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলিতে ইউনিট খুলছে এবিভিপি। বাদ পড়েনি দুর্গাপুর সরকারি কলেজও। কয়েকদিন ধরেই কলেজের বাইরে ক্যাম্প অফিস করে সদস্য সংগ্রহ অভিযান চালাচ্ছিল এবিভিপি সমর্থকরা। মঙ্গলবার একাধিক দাবি জানিয়ে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার কথা ছিল তাঁদের। পূর্ব পরিকল্পনামাফিক এদিন নির্ধারিত সময়ে কলেজ চত্বরে জমায়েত করে এবিভিপি সমর্থরা। অভিযোগ, কলেজ চত্বরে পৌঁছতেই তাঁদের বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। মারধর করা হয় তাঁদের। কিন্তু টিএমসিপি সদস্যদের আক্রমণ সত্ত্বেও কলেজে প্রবেশ করেন এবিভিপি সদস্যরা।
অভিযোগ, অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ফেরার সময় ফের এবিভিপি সদস্যদের উপর চড়াও হয় টিএমসিপি সদস্যরা। ফের মারধর করা হয় তাঁদের। পালটা আক্রমণ করেন আক্রান্তরাও। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠতেই ঘটনাস্থলে যায় দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁদের সামনেই চলে দু’পক্ষের হাতাহাতি। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
তবে এখনও থমথমে এলাকা। টিএমসিপি সদস্যদের অভিযোগ, স্মারকলিপি পেশের নামে বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে হামলা করছে এবিভিপি সদস্যরা। যদিও তাঁদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এবিভিপি। তাঁদের পালটা অভিযোগ, কলেজে একাধিক দুর্নীতি হয়েছে। সেসবের প্রতিবাদে স্মারকলিপি জমা দিতে যাওয়ার কারণেই আক্রমণ করা হয় তাঁদের।
এই প্রথম নয়, কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন কলেজগুলির একাধিক দুর্নীতির প্রতিবাদে অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি পেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিভিপি সমর্থকরা। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্মারকলিপি পেশকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কলেজে। এর জেরে কলেজে পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছে সব মহল।
ছবি: উদয়ন গুহরায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.