Advertisement
Advertisement
ধর্ষণ

ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ, জনতা-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র উলুবেড়িয়া

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ।

Clash broke out between police and villagers in Howrah
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 2, 2020 7:45 pm
  • Updated:February 2, 2020 10:18 pm  

মণিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ছাত্রীর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল উলুবেড়িয়ার রাজপুর থানার সুমদা এলাকা। দফায় দফায় চলে পথ অবরোধ। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন জায়গায়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় স্থানীয়দের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ । পালটা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে ও বোমাবাজি করে উত্তেজিত জনতা। বাধ্য হয়ে টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। ঘণ্টা খানেকের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এখনও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও ব়্যাফ।

howrah-2

Advertisement

তুলসীবেড়িয়ার সমুদার বাসিন্দা স্বাতী সামন্ত। বাগনানের বিএনআর স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃ্হস্পতিবার সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে স্কুলে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয় ওই কিশোরী। এরপর আর খোঁজ মেলেনি তার। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজে স্কুলে যায় কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। তখন তারা জানতে পারেন যে, স্কুলেই যায়নি স্বাতী। ওই কিশোরীর এক বন্ধু জানায় যে, সুমদারই বাসিন্দা আমির আলি নামে এক যুবকের সঙ্গে স্বাতীকে দেখেছিল সে। এরপর গোটা দিনে মেয়ের হদিশ না মেলায় রাজপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে করে স্বাতীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে আমির আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় ধৃত যুবক জানায়, “স্বাতী সারাদিন আমার সঙ্গে থাকলেও বিকেলে ওকে বাড়ির কাছে নামিয়ে দিয়ে এসেছিলাম।” 

howrash-3

[আরও পড়ুন: ধর্মান্তকরণের পর আদিবাসী তরুণীদের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ VHP’র বিরুদ্ধে, তুমুল সংঘর্ষ]

এই পরিস্থিতিতে বাগনানের চন্দ্রপুরের কাছে রেল লাইনে একটি দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি উদ্ধার করে পুলিশের তরফে ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়। খবর পেয়ে শনিবার রাতে স্বাতীর দেহ শনাক্ত করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, স্বাতীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের মামলা রুজুর দাবিতে রবিবার ক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকার বাসিন্দারা। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় ব়্যাফ। দীর্ঘক্ষণ পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে এলাকা। যদিও এখনও চাপা উত্তেজনা রয়েছে। হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় বলেন, “পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা দায়ের করে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement