রূপায়ন গঙ্গোপাধ্যায় ও অরিজিৎ গুপ্ত: নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে হাওড়ায় বিজেপির মিছিলে ধুন্ধমার। মিছিলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। গ্রেপ্তার করা হয় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিজেপির ১০০০ কর্মীকে। অন্যদিকে, এদিনই নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অনুপম হাজরার নেতৃত্বে ঠাকুরপুকুরের ৩এ বাসস্ট্যান্ড থেকে মিছিলে পা মেলান বিজেপির কর্মীরা।
নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে তোলপাড় গোটা রাজ্য। CAA’র প্রতিবাদে পথে নেমেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা দিতে CAA’র সমর্থনে জেলায় জেলায় পথে নেমেছেন বিজেপির কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে হাওড়ায় বিজেপির তরফে একটি মিছিলের আয়োজন করা হয়। কদমতলা থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলে ছিলেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং-সহ বিজেপির জেলা ও রাজ্যস্তরের নেতা ও স্থানীয় কর্মীরা। অনুমতি না থাকার কারণে মিছিলটি পাওয়ার হাউস এলাকায় পৌঁছতেই বাধা দেয় পুলিশ। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপি কর্মীরা। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিক্ষোভ তুলতে গেলে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০০০ নেতা-কর্মীকে।
অন্যদিকে, এদিনই বেহালার ৩এ বাসস্ট্যান্ড থেকে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আরও একটি মিছিল শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন অনুপম হাজরা। এদিনের মিছিল থেকেও তিনি রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সুর চড়ান। শেষ কয়েকদিনের অশান্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কয়েকদিনে যা হয়েছে তা কোনওভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। সরকারের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সেইসঙ্গে CAA’র জন্য কেন্দ্রকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAB) তে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পর তা আইনে পরিণত হয়েছে। এরপরই থেকেই নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে কার্যত রণক্ষেত্র চেহারা নিয়েছে গোটা রাজ্য। স্টেশনে-স্টেশনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। একের পর এক ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার জেরে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল জীবনযাত্রী। ৪ দিন পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পখে পরিস্থিতি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.