ফাইল ছবি।
দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত ডানকুনি। অভিযোগ, পরিস্থিতি আয়ত্বে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। পালটা লাঠিচার্জ করে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও থমথমে এলাকা। ঘরবন্দি স্থানীয়রা।
ঘটনার সূত্রপাত ২৬ জানুয়ারি সকালে। জানা গিয়েছে, এদিন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও বেশ কিছু বিজেপি কর্মী একত্রিত হয়ে পতাকা উত্তোলন করতে হুগলির ডানকুনি এলাকায় যায়। সেই সময় পতাকা তোলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে অশান্তি শুরু হয় বিজেপি কর্মীদের। অভিযোগ, সেই সময় পরিকল্পনামাফিক এলাকার তৃণমূল কর্মীদের উপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। গুরুতর আহত হন ৪ তৃণমূল কর্মী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব-সহ অন্যান্যরা। তাঁদের তৎপরতায় হাসপাতালে পাঠানো হয় আহতদের। বিজেপির পতাকা উত্তোলন কর্মসূচির দায়িত্বে থাকা কবিশংকর বসু-সহ একাধিকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করে তাঁরা। সাময়িক ভাবে সমস্যা মিটে।
কিন্তু রাত বাড়তেই ফের নতুন করে শুরু হয় অশান্তি। জানা গিয়েছে, এদিন রাতে হঠাৎই জানকুনির যে এলাকায় সকালে অশান্তি হয়েছিল সেখানে জড়ো হয় বেশ কিছু বিজেপির কর্মী-সমর্থক। এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযোগ, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই তাঁদের লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে অভিযুক্তরা। বোমাবাজিও করে তারা। ইটের আঘাতে আহত হন ভুদেব পর্বত নামে এক পুলিশ কর্মী। এরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উত্তরপাড়া ও লিলুয়া থানার পুলিশ। টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করা হয়। বিজেপি-পুলিশ সংঘর্ষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডানকুনি চত্বর। দীর্ঘক্ষণ পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। এদিন সংঘর্ষের জেরে রাত থেকে কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে ডানকুনি। সকালেও থমথমে এলাকা।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘বিজেপি বিভিন্ন প্রান্তে হামলা চালাচ্ছে। ডানকুনিতে কর্মীদের উপর হামলায় ৪ জন আহত হয়েছে। সেই কারণে কবিশংকর বসু-সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি নেতা শ্যামল বসু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.