সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ওড়িশার বালেশ্বরে রেল দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে দেখা করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। নওশাদের সামনেই হাতাহাতির ঘটনায় আহত হন একজন।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩০ জনের। আহত শতাধিক। মৃতদের পরিবারের পাশে সমবেদনা জানাতে বিরোধী থেকে শাসক প্রতিনিধিরা একে একে হাজির হচ্ছেন এলাকায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ ব্লকের মধুসূদনপুর এলাকা ৫ জন মৃতে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। বিধায়ক কাকদ্বীপের মধুসূদনপুর এলাকায় পৌঁছলে আইএসএফ নেতাকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে একদলের বিরুদ্ধে। এর ফলে আইএসএফ কর্মী সমর্থক ও বাধাদানকারীদের মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়। তা রীতিমতো হাতাহাতিতে পৌঁছয় বলে অভিযোগ। এর জেরে আহত হন একজন। এই ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হারউড পয়েন্ট পোস্টাল থানার পুলিশ। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহত আইএসএফ কর্মীকে প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য কাকদ্বীপ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন আইএসএস নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি মৃত ব্যক্তিদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। বিধায়ক বলেন, “মৃত্যু নিয়ে আমরা রাজনীতি করতে আসিনি। এই মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায় যারা মারা গিয়েছে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এসেছি। আমি যখন এলাকায় পৌঁছই তখন বেশ কিছু এলাকার মাতব্বররা ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল। এই নিয়ে আমাদের কর্মীদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছে। পরবর্তীকালে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে।”
এ বিষয়ে আইএসএফের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটির সহ- সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লার দাবি, নওশাদ সিদ্দিকির পথ আটকে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল কর্মীরাই। তাদের কাকদ্বীপ ব্লক সভাপতি মনিরুল ইসলাম-সহ তিনজনকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করেন বলেও তাঁর অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.