ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল ও সুরজিৎ দেব: আমফানের (Amphan) ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবার রণক্ষেত্রে হয়ে উঠেছিল কাকদ্বীপ (Kakdwip)। গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ১৪ জন বিজেপি কর্মীকে। সোমবার তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
রবিবার আমফানের ত্রাণে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাকদ্বীপের হার্ডউড পয়েন্ট উপকূলীয় থানার স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে। ওই দিনের অশান্তির ঘটনায় ১৪ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে থানার সামনে। ২ জনকে ছেড়েও দেওয়া হয়। বাকি ১২ জনকে সোমবার কাকদ্বীপ আদালতে তোলা হয়। এদিনই ধৃতদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সূত্রের খবর, দলীয় কর্মীদের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের দাবিও জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে মথুরাপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি তপন জানা বলেন, “পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছে। অথচ আমাদের কর্মীদের মারধর করল তৃণমূল। তাদের এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি। তাদেরকে গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলন শুরু করব কাকদ্বীপে।”
এ বিষয়ে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। আমাদের কর্মীরা যদি অন্যায় করে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করবে।” অন্যদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের কেওড়াডাঙ্গা অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত তালিকায় একই পরিবারের চারজন ব্যক্তির নাম থাকায় তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তোলেন বিজেপি কর্মী বাবলু পুরকাইত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.