জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: পিকের থেকে টাকা খেয়ে দলকে শেষ করছে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি! এই অভিযোগের জেরেই রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) বসিরহাট। ফের প্রকাশ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ায় পদ্ম শিবির। ক্ষোভের বশে অনুষ্ঠান গৃহে তালা বন্ধ করে রাখা হয় অভিযুক্ত জেলা সভাপতিকে। নির্বাচনের আগে বারবার অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে চলে আসায় বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি।
রবিবার বেলা ১২ টায় বসিরহাটের (Basirhat) এক অনুষ্ঠান গৃহে বিজেপির তরফে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে যাওয়ার কথা ছিল জেলা বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তারক ঘোষের। কিন্তু তিনি সেখানে পৌঁছনোর আগেই সভায় প্রবেশের মূল দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেয় বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার-সহ দলের কর্মী-সমর্থকরা। এই নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সভাস্থল। বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠী। ক্রমেই তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। তারক ঘোষ বিরোধীদের কথায়, “সাংগঠনিক জেলার সভাপতি প্রশান্ত কিশোরের কাছ থেকে মোটা টাকা খেয়ে দলটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখানকার কর্মী-সমর্থকদের মনোবল নষ্ট করে দিচ্ছে, তৃণমূলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন উনি। ওনার শুধুই টাকার লোভ! আমরা সভাপতির কাছে এসেছিলাম সাংগঠনিক কাজকর্ম কী হচ্ছে জানতে। উনি বরাবরই নিজের সিদ্ধান্তে অটল, কোনও কিছুই কর্মী-সমর্থক, নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন না। তাই ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপির যুব মোর্চার সদস্যরা।”
জানা গিয়েছে, এখনও অনুষ্ঠানস্থলে তালা বন্ধ অবস্থায় রয়েছেন তারকবাবু। কিন্তু কেন স্বয়ং জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ আনলেন কর্মীরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগের সত্যতা নিয়েও কানাঘুষো শুরু হয়েছে। আর এই ঘটনায় আসরে নেমেছে ঘাসফুল শিবির। পালটা খোঁচা দিতে ছাড়ছে না তৃণমূল নেতৃত্ব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.