বিক্রম রায়, কোচবিহার: ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ। ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি বিধায়ক (BJP MP)। দফায় দফায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে তুফানগঞ্জের ১ নম্বপ হরিধাম এলাকায় ত্রাণ বিলির আয়োজন করেছিল বিজেপি। নির্দিষ্ট সময়ে তা শুরু হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা সেই কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এই নিয়েই শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকরা। এরপরই হাতাহাতিও হয়। সাময়িকভাবে অশান্তি মিটেও যায়। ঝামেলার খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে যান মালতি রাভা। সেই সময় তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মীরা। তখন ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল-বিজেপি। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বিধায়কের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে পুলিশ। উত্তেজনা চরম আকার নেয়। অভিযোগ, এরপরই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, এদিনের সংঘর্ষের ঘটনায় ২ বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের ভরতি করা হয়েছে হাসপাতালে। এছাড়া কয়েকজন তৃণমূল কর্মীও জখম হয়েছেন বলে খবর।
বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। অশান্তি তৈরি করেছে। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি তুফানগঞ্জ শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি ইন্দ্রজিত ধরের। তিনি বলেন, “সকালে আমরা কার্যালয়েই ছিলাম। ত্রাণ বিলির নামে বিজেপি কর্মীরা কার্যালয়ে হামলা চালায়। আমাদের ৫ কর্মী জখম হয়েছেন। এরপরই স্থানীয়রা প্রতিরোধ করে। তৃণমূলের কর্মীরা মারধরের ঘটনায় জড়িত নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.