ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: ছাগল খেয়েছে মাঠের ধান। স্রেফ এই ইস্যু ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ। রণক্ষেত্র বীরভূমের (Birbhum) ইলামবাজার। আহত দু’পক্ষের প্রায় ৮ জন। ইলামবাজার থানার দুই গ্রাম – পাইকুনি ও নৃপতি গ্রামে পুলিশের সামনেই বাঁশ, লাঠি নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় গ্রামবাসীরা৷ এই সুযোগে মাঠের ধানও লুঠ করা হয় বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে, হাত-পায়ে আঘাত লেগে রক্তাক্ত অবস্থায় দু’পক্ষের ৬ জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ছাগলে মাঠের ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে। ইলামবাজার থানার নৃপতি গ্রামের মাঠের ধান পাইকুনি গ্রামের ছাগল খেয়ে নেয়৷ এই অভিযোগে চাপা অশান্তি কয়েকদিন ধরেই চলছিল৷ এরপর মঙ্গলবার ছাগল চড়াতে গ্রামের মাঠে নিয়ে আসেন মালিকরা৷ সেই সময় অন্যের জমিতে ঢুকে ধান খেয়ে নেয় ছাগলে৷ অভিযোগ, তা বোঝার পরই নৃপতি গ্রামের লোকজন পাইকুনি গ্রামের চাষিদের কেটে রাখা ধান ট্রাক্টর (Tractor) বোঝাই করে নিয়ে চলে যায়৷
এই নিয়ে সকালে শুরু হয় দুই গ্রামের মধ্যে ঝামেলা। নিমেষের মধ্যেই গ্রামবাসীদের মধ্যে অশান্তিই সংঘর্ষে (Clash) বদলে যায়। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাঁশ-লাঠি নিয়ে দুই পক্ষের লোকজন চড়াও হয় একে অপরের উপর৷ গ্রামের মাঠেই চলতে থাকে সংঘর্ষ৷ অশান্তির খবর পেয়ে ইলামবাজার থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। পুলিশের উপস্থিতি তোয়াক্কা না করেই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে মগ্ন ছিল বিবদমান দুই পক্ষ। পরিস্থিতি সামলাতে পরে আরও পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স আনা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাথা ফেটে, হাতে-পায়ে আঘাত লেগে দু’পক্ষের ৮ জন আহত হয়৷ ছ’জনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। দুই গ্রামের এই সংঘর্ষ ঘিরে এখনও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। আতঙ্কিত গ্রামের সাধারণ মানুষ। ফের পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.