বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ফের অশান্ত শিক্ষাঙ্গন। ছাত্র সংসদ দখলকে কেন্দ্র করে গুলি-বোমায় কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নদিয়ার মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ী কলেজ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এবিভিপির সংঘর্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই কোনওক্রমে কলেজ চত্বর ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা।
বেশ কয়েকদিন ধরে নদিয়ার মাজদিয়ার সুধীররঞ্জন লাহিড়ী কলেজে চাপা অশান্তি চলছিলই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নাকি এবিভিপি কার দখলে থাকবে ছাত্র সংসদ, তা নিয়ে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। এবিভিপি কার্যত গাজোয়ারি করে ছাত্র সংসদ দখল করে রেখেছে বলেই অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। এই অভিযোগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে সোমবার অধ্যক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান বেশ কয়েকজন। এবিভিপি-র অভিযোগ, কলেজে ঢোকার সময় এবং ভিতরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে বোমাবাজি করা হয়। পুলিশ এই ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে বলেও অভিযোগ।
এবিভিপির জেলা প্রমুখ আশিস বিশ্বাস বলেন, “ডেপুটেশন উপলক্ষ ছাড়া আর কিছুই নয়। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বোমাবাজি করতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি জমা দিতে আসে। আমাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক জখমও হয়েছে।” যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। টিএমসিপির জেলা সভাপতি সৌরিক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ডেপুটেশন দিয়ে বেরনোর সময় গুলি চালায় এবিভিপি। আমাদের ২-৩ জন সমর্থক জখমও হয়েছে।” যদিও পুলিশের দাবি, টিএমসিপি এবং এবিভিপি দু’পক্ষের তরফেই কলেজে বোমাবাজি করা হয়। চালানো হয় শূন্যে গুলিও। যারা অশান্তি করেছে রাজনীতির রং না দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে বলেও দাবি পুলিশ আধিকারিকদের।
এদিকে, কলেজে যখন অশান্তি চলছে তখন ভিতরে পরীক্ষা চলছিল। আচমকা গুলি-বোমার শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই বাধ্য হয়ে কলেজ ছাড়ে ছাত্রছাত্রীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.