Advertisement
Advertisement

রাস্তার গরুকে ‘ফলো’ করে মালিকদের খোঁজ করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা

গরুর জন্য ট্রাফিক জ্যাম, অভিনব সমাধান পুলিশের।

Civic volunteers to search cow owners
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 10, 2019 1:33 pm
  • Updated:March 10, 2019 1:33 pm  

ধীমান রায়,কাটোয়া: গরু খোঁজা নয়, গরুর মালিক খোঁজা। বর্ধমানের কাটোয়ার ব্যস্ততম সড়কে ফি-দিন সকালে রাস্তার একটা দিক চলে যায় গরুর পালের দখলে। ফলে নিত্যদিন যানজটের সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু এবার এর সমাধানের উপায় বের করে ফেলেছেন কাটোয়া ট্রাফিকের ওসি। সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, রাস্তা দখল করে বসা গরুদের মালিককে খোঁজার। আর তা ঠিকমতো করতে হলে প্রতিদিন সন্ধেবেলা রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুগুলির পিছন পিছন গোয়াল পর্যন্ত যেতে হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। কাটোয়ার ট্রাফিক পুলিশের তরফে এমন অভিনব নির্দেশে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কিছুটা দিশেহারা সিভিক ভলান্টিয়াররাও।

[ছেলেধরা সন্দেহে ফের গণপিটুনি, বর্ধমানের জামালপুরে আক্রান্ত যুবক]

সকাল হলেই কাটোয়া শহরের স্টেশনবাজার চৌরাস্তা, কাছারি রোড, সুবোধ স্মৃতি রোড, রেলগেট-সহ বিভিন্ন রাস্তার দখল নেয় গরুর পাল। তারা রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ফেলে দেওয়া শাকসবজি খায়। কখনও দোকানে দোকানে গিয়েও হানা দেয়। এমনিতে নিরীহ হলেও, এভাবে এলাকাজুড়ে ঘুরে বেড়ানো গরুগুলিকে দেখে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুরা তটস্থ থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কাটোয়ার অনেক গো-পালক তাদের গরুগুলি সারাদিন ছেড়ে রাখেন। গৃহপালিত পশুগুলি রাস্তায় চরে বেড়ায়। কাটোয়া রেলস্টেশনেও বেশ কয়েকটি গরুর নিত্য যাতায়াত লেগে থাকে। সমস্যায় পড়েন রেলযাত্রীরাও। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকটি গরুর মালিককে খুঁজে পাওয়া গেলেও, বাকিদের হদিশ করে উঠতে পারেননি দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারের দল।

Advertisement

[দীর্ঘদিন পর ফের বদলে গেল দার্জিলিং মেলের রং, খুশি যাত্রীরা]

কাটোয়া ট্রাফিক ওসি সংগ্রাম মহিতে বলেন, “কাটোয়া শহরের ব্যস্ততম রাস্তাগুলিতে অনেকদিন ধরেই দিনভর কিছু গরু ঘুরে বেড়ায়। ফলে যানজট হয়। আমরা গরুগুলির মালিকদের খুঁজে বের করে সতর্ক করেছি, তাঁরা যেন এভাবে নিজের পোষ্যদের ছেড়ে না দেন।” সংগ্রামবাবু আরও জানিয়েছেন, রাস্তা থেকে গরুর পালকে সরিয়ে দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের বলা হয়েছে যে সন্ধেবেলায় গরুগুলি যখন গোয়ালমুখো হবে, তখন তাদের পিছু নিয়ে সোজা মালিকের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে হবে। দেখতে হবে মালিক কারা। এবং তারপর তাঁদের ফের সতর্ক করে দিতে হবে। কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় এনিয়ে বলেন, “শহরের পথেঘাটে গরু ঘুরে বেড়ানো একটা সমস্যার কারণ ঠিকই। আমরা এনিয়ে শহরে প্রচার চালাব।” তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, গোচারণ ক্ষেত্র আর কোথায় আছে? তাই তো বাধ্য হয়েই রাস্তায় ছাড়তে হচ্ছে গরুদের।

ছবি: জয়ন্ত দাস

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement