নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: মদের আসরে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে মাথা থেঁতলে খুন৷ বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার বকচরায়৷ মৃত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম অমিত বিশ্বাস (৩৭)৷ গাইঘাটার বইকরা গ্রামের বাসিন্দা৷ বিধাননগর উত্তর থানায় কর্তব্যরত ছিলেন তিনি৷ মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, দাদুর শ্রাদ্ধের কাজের জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিনি৷ স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বকচরা প্রাথমিক স্কুলের মাঠ থেকে উদ্ধার হয় অমিতের দেহ৷ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল৷ প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, কোনও ভারী জিনিস দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে অমিতকে৷ তবে কী কারণে এই খুন? পুলিশের দাবি, এদিন রাতে ওই স্কুলের মাঠে মদ্যপান করছিল কয়েকজন যুবক৷ স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, প্রায় প্রতি রাতেই মদের আসর বসত এই মাঠে৷ মাঝে মধ্যেই সেখানে আসত অমিত৷ এলাকার বাসিন্দাদের থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, বুধবার রাত একটা নাগাদ ওই স্কুল মাঠ থেকে কারও চিৎকার শুনতে পান তাঁরা৷ স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, “শুনে মনে হচ্ছিল কাউকে মারধর করা হচ্ছে৷ বাঁচার জন্য কেউ যেন আর্তনাদ করছে৷” এর পর প্রতিবেশীরাই পুলিশকে খবর দেন৷ পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে৷ ওই মাঠ থেকে বেশ কয়েকটি মদের বোতলও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় জানিয়েছেন, “পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ তবে এই কাজের সঙ্গে অমিতের পরিচিতরাই যুক্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷”
অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলার যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ৷ ধৃতদের নাম তপন হালদার, বিজয় মণ্ডল ও তরুণ বিশ্বাস৷ ধৃতরা প্রত্যেকেই মৃত যুবক কালীচরণ হাজারির বন্ধু৷ তবে এই ঘটনায় জড়িত বাকি তিন অভিযুক্ত এখনও অধরা৷ এই ক্ষেত্রেও একইভাবে মদের আসর থেকে বচসার জেরে খুন হতে হয়েছিল কালীচরণকে৷ জানা গিয়েছে, মাছের ভেড়িতে বসে মদ খাচ্ছিল সাতজন যুবক৷ সেই সময় নিজেদের মধ্যে বচসা শুরু হয়৷ কালীচরণ বন্ধুদের একটি বাইকে লাথি মারলে ছ’জন মিলে বেধড়ক মারধর করে তাঁকে৷ ঘটনাস্থলেই কালীচরণের মৃত্যু হয়৷ অভিযুক্তরা দেহটি নিয়ে মৌখালি গ্রামে কালীচরণের বাড়ির সামনে ফেলে পালায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.