রাজা দাস, বালুরঘাট: পথনিরাপত্তার কাজের ফাঁকে একের পর এক পণ্যবাহী লরি থেকে তোলা আদায়৷ বালুরঘাটে সিভিক ভলান্টিয়ারের এই তোলা আদায়ের ভিডিও ভাইরাল হতেই তাঁকে ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন৷ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম রসিদ মণ্ডল৷
এর আগেও জেলার বিভিন্ন এলাকায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী তাঁদের কাজকর্মের এক্তিয়ার নিয়েও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। জানা গেছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো পণ্যবাহী লরি সীমান্তবর্তী হিলিতে যায়। সেখানকার ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে সেই লরি বাংলাদেশে গিয়ে পণ্য খালাস করে। হিলি সীমান্ত দিয়ে এই আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায় রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের বছরে কয়েকশো কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। আর সেই পণ্যবাহী লরি থেকেই তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠল এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে।
কর্তব্যরত অবস্থায় সিভিক ভলান্টিয়ার রসিদ মণ্ডলের তোলাবাজির ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওতে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশগামী পণ্যবাহী লরিকে হিলি ত্রিমোহিনীর ডাবরা এলাকার জাতীয় সড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রসিদ লরিচালকের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে টাকা নিচ্ছে৷ মোবাইলে ভিডিওটি তুলে রাখেন আরেক লরির চালক। এরপরই তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়।
এদিকে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই দোষী সিভিক ভলান্টিয়ার রসিদ মণ্ডলের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন সকলে। সুযোগ পেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি ময়দানে নামে। এদিকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছিল জেলা পুলিশ প্রশাসন। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত বা ছাঁটাই করা হয়েছে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে।
অভিযোগ, এদিন বাংলাদেশগামী যেসব লরি পণ্য নিয়ে হিলির দিকে যাচ্ছিল তা থেকেও তোলা তুলেছিল অভিযুক্ত রসিদ মণ্ডল। প্রতিদিন এইভাবে তোলা আদায় হলেও তার তথ্য প্রমাণ থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই, পার পেয়ে যায় এই ধরনের সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনকী তাঁদের কাজের এক্তিয়ার নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। পুলিশ ও সিভিকদের তোলাবাজির টাকা না দিলে লরি ছাড়া হয় না। অযথা চালক এবং খালাসিদের হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। ডিএসপি (সদর) ধীমান মিত্র বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। এরপরেই অভিযুক্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার রসিদ মণ্ডলকে ছাঁটাই করা হয়েছে।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.