Advertisement
Advertisement

আত্মঘাতী সিভিক ভলানটিয়ার, মৃত্যু নিয়েও ঝগড়া শাশুড়ি-বউমার

কারওর বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের হয়নি।

Civic cop commits suicide in Burdwan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 30, 2018 2:03 pm
  • Updated:January 30, 2018 2:03 pm  

ধীমান রায়, ভাতার: বাড়ি থেকে সিভিক ভলানটিয়ারের ঝুলন্তদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতের নাম সঞ্জয় ঘোষ (২৪)।  মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, বাড়িতে বাবা-মায়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যা করেছেন স্বামী। অন্যদিকে ছেলের মৃত্যুর জন্য বউমাকে দায়ি করে পালটা অভিযোগ করেছেন মৃতের বাবা। তাঁর দাবি স্ত্রী সঙ্গে বনিনবনা হচ্ছিল না ছেলের। তাই অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছে। দুই তরফে পারস্পরিক দোষারোপ থাকলেও থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ভাতার থানার তরফে একটি  অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ভাতারের নিত্যানন্দপুর গ্রামে।

[দৌলতাবাদের পরও হুঁশ ফেরেনি, কান্দির একাধিক জীর্ণ সেতু বাড়াচ্ছে উদ্বেগ]

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের বাবা ধনঞ্জয় ঘোষ পেশায় চাষি। নিজে চাষাবাদ করলেও ছেলে চাকরি করুক এমনটাই চাইতেন। সঞ্জয়ের মামারবাড়ি মাহাচান্দা গ্রামে। প্রায়শই সেখানে যাতয়াত করতেন। সেই সূত্রেই মাহাচান্দা পঞ্চায়েত এলাকায় সিভিক ভলানটিয়ারের কাজ পেয়ে যান সঞ্জয়। কাজে যোগ দেওয়ার কিছুদিন পরেই মাস ছয়েক আগে ভাতারের কাশীপুরে ছেলের বিয়ে দেন ধনঞ্জয়বাবু। বিয়ের পর থেকেই অশান্তি শুরু হয়। গত রবিবার অশান্তির জেরেই ছেলে বউমাকে আলাদা করে দেন ধনঞ্জয়বাবু। এর জেরে বাবা মায়ের সঙ্গে একপ্রকার কথাও বন্ধ হয়ে যায় সঞ্জয়ের। সোমবার দুপুরে স্ত্রীকে কাশীপুরে শ্বশুরবাড়িতে রেখে আসেন তিনি। বাড়িতে ফিরে সন্ধ্যা নাগাদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হন। এদিকে স্বামী বাড়ি ফিরে পৌছনোর খবর দেয়নি। চিন্তায় ছিলেন চম্পাদেবী। সন্ধ্যার সময় স্বামীর খবর নিতে সঞ্জয়বাবুকে ফোন করেন চম্পাদেবী। তখনই প্রতিবেশীদের কেউ তাঁকে দুঃসংবাদটি জানায়। খবর পেয়েই বাপেরবাড়ির লোকজনদের নিয়ে নিত্যানন্দপুরে ফিরে আসেন চম্পাদেবী। পুলিশেও খবর দেন।wife-web

Advertisement

মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, শ্বশুর-শাশুড়ির অশান্তির জেরেই আত্মহ্ত্যা করেছে তাঁর স্বামী। আলাদা করে দেওয়ার পর সম্পত্তি থেকে ছেলেক বঞ্চিত করার চেষ্টা করছিলেন শ্বশুর-শাশুড়ি। এর জেরেই অশান্তি হচ্ছিল। স্বামীর মৃত্যুর খবরে বাড়িতে ফিরে দেখেন তাঁর ঘরের আলমারিটি খোলা পড়ে আছে। সেখানে একটাও গয়না অবশিষ্ট নেই। মঙ্গলবার দুই তরফই থানায় এসে পারস্পরিক দোষারোপ শুরু করে। তবে এখনও পর্যন্ত দুই তরফের কেউই নির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।

[ওভারহেড তার ছিঁড়ে বিপত্তি, বন্ধ হাওড়া থেকে কাটোয়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement